বিজয়া সম্মিলনীতে উপস্থিত প্রাক্তন তারকা ফুটবলাররা।
কলুটোলার রায়বাড়িতে চাঁদের হাট। কে নেই সেখানে! ভারতীয় ফুটবলের সব রথী-মহারথীরা হাজির রবিবারের বিজয়া সম্মিলনীতে। সুরজিৎ সেনগুপ্ত, শ্যাম থাপা, সুব্রত ভট্টাচার্য, সমরেশ চৌধুরী, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, গৌতম সরকার, কম্পটন দত্ত, প্রদীপ চৌধুরী, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়, অতনু ভট্টাচার্য, বিদেশ বসু, মানস ভট্টাচার্য, কৃষ্ণেন্দু রায়, শিশির ঘোষ, বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, মিহির বোস, স্বপন সেনগুপ্ত, প্রতাপ ঘোষ, জহর দাস-সহ আরও অনেকে। হইহই করে কোথা দিয়ে যে ঘন্টা দুয়েক সময় কেটে গেল, তা বুঝতে পারলেন না কেউই।
এক সময়ে সবুজ মাঠে কত লড়াই না লড়েছেন তাঁরা। একে অপরকে মাঠের ভিতরে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন। পুরনো সেই দিনের কথা বারবার উঠে আসছিল সাত-আট-নয়ের দশকের তারকা ফুটবলারদের বিজয়া সম্মিলনীতে।
৬১ বছর পরে কলকাতা লিগ জিতেছে তিন প্রধানের বাইরের কোনও দল। জহর দাসের হাত ধরে পিয়ারলেস এ বার নজির গড়েছে। তাঁকে অভিনন্দন জানানো হয় অনুষ্ঠানে। কম্পটন দত্ত বলছিলেন, ‘‘সারা বছর আমরা কাজে ব্যস্ত থাকি। আমাদের প্রাক্তন ফুটবলারদের দেখা সাক্ষাৎ সেভাবে হয় না বললেই চলে। সেই কারণেই এ বার এ রকম একটা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সবার সঙ্গে দেখা হয়ে বেশ ভাল লাগল। তবে একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বেরিয়ে এসেছে আমাদের এই রিইউনিয়নে। সেটা হল, এখন আমাদের অনেকেরই জীবন সংক্ষিপ্ত হয়ে এসেছে। অনেকের ছেলেমেয়েই বাইরে থাকে। শারীরিক অসুস্থতার সময়ে আমরা সবাই খুব অসহায় হয়ে পড়ি। এ রকম সময়ে পাশে কাউকে পেলে মনে বল ভরসা হয়। সেই কারণে আমরা প্রাক্তন ফুটবলাররা স্থির করেছি, আমাদের কেউ এ রকম সমস্যায় পড়েছে শুনলেই আমরা ঝাঁপিয়ে পড়ব। একে অপরের পাশে থাকব। কেউ যেন মনে না করে সে অসহায়।’’
এক সময়ের মাঠ কাঁপানো প্রাক্তন ফুটবলাররা বিজয়া সম্মিলনীতে একে অপরের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন। প্রাক্তন ফুটবলারদের নিয়ে অ্যাসোসিয়েশন করার প্রস্তাবও দিয়েছেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy