ম্যাচ হেরে হতাশ আনোয়ার আলি। ছবি: রয়টার্স।
ভারত-কাতার ম্যাচের গোল নিয়ে বিতর্ক বেড়েই চলেছে। কাতারের কাছে হেরে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে ভারত। এই ম্যাচে কাতারের করা একটি গোল নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কেন সেখানে ‘ভার’ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হল না? ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে কারা ছিলেন?
লালিয়ানজুয়ালা ছাংতের করা গোলে কাতারের বিরুদ্ধে ম্যাচের ৭৩ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে ছিল ভারত। ৭৩ মিনিটে কাতারের হয়ে সমতা ফেরান ইউসুফ আইমেন। ভারতের গোলরক্ষক গুরপ্রীত বল ধরতে গিয়ে ফস্কান। বল গোল লাইনের বাইরে বেরিয়ে যায়। সেখান থেকে বল টেনে নিয়ে ভিতরে ঢোকান কাতারের ফুটবলার। গোল করেন আইমেন। গোলের পর কাতারের ফুটবলারদের দেখে পরিষ্কার বোঝা যায় তাঁরাও ভাবেননি এটি গোল দেওয়া হবে। কিন্তু রেফারি সবাইকে অবাক করে দিয়ে গোল দিয়ে দেন। দুই লাইন্সম্যান কার্যত চোখ বুজে থাকেন। অবাক ভারতীয় ফুটবলাররা মাঠেই প্রতিবাদ জানান। কোনও লাভ হয়নি।
বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে ‘ভার’ প্রযুক্তি নেই। তার ফলে সন্দেহ থাকলেও তা খতিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি। কিন্তু যেখানে কোনও ম্যাচের উপরে বিশ্বকাপের যোগ্যতা নির্ভর করছে সেখানে কেন ‘ভার’ প্রযুক্তি নেই তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অনেকে দাবি করেছেন, এই ধরনের ম্যাচে এই প্রযুক্তি রাখা উচিত ছিল ফিফার।
বিতর্কিত গোল দিয়ে কাঠগড়ায় রেফারি ও লাইন্সম্যানেরা। তাঁরা তিন জনই দক্ষিণ কোরিয়ার। রেফারি কিম উয়ো সাং কোরিয়ার কে লিগে ম্যাচ পরিচালনা করেন। এর আগে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে হংকং বনাম উজবেকিস্তান ম্যাচও খেলিয়েছেন তিনি। এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বেও নিয়মিত খেলান তিনি। দুই লাইন্সম্যান কাং ডং হো এবং চিয়ন জিন হি-ও কে লিগে দায়িত্ব সামলান।
ম্যাচের চতুর্থ রেফারি ছিলেন আবদিলাদায়েফ দাইরবেক। কিরঘিজস্তানের রেফারি তিনি। ম্যাচ কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন ইরানের হামেদ মোমেনি। রেফারি অ্যাসেসর হিসাবে ছিলেন সিরিয়ার বাসেল আল হাজ্জার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy