নজরে: গোল করার মুহূর্তে সুনীল। ছবি: সুমন বল্লভ।
বৃষ্টিস্নাত বুধ-সন্ধ্যায় যুবভারতীর টানেল থেকে বেরিয়ে নিশ্চয়ই বিস্মিত হয়েছিলেন সুনীল ছেত্রী। গ্যালারি শূন্য। খুব বেশি হলে শ’খানেক দর্শক। ডুরান্ড কাপ আয়োজকদের দেওয়া তথ্য আরও ভয়ঙ্কর, একটিও টিকিট বিক্রি হয়নি বুধবারের দ্বৈরথের! অথচ ভারতীয় দলের হয়ে সুনীলের বিদায়ী ম্যাচের এখনও দু’মাস হয়নি। কী অদ্ভুত ভাবে বদলে গিয়েছে পরিস্থিতি।
৬ জুন এই যুবভারতীতে ৫৮ হাজার ৯২১ জন দর্শকের জয়ধ্বনির মধ্যে দিয়ে দেশের জার্সিতে শেষ ম্যাচ খেলতে নেমে আবেগে ভেসে গিয়েছিলেন। চোখের জলে মাঠ ছেড়েছিলেন তিনি। ৩১ জুলাই প্রিয় যুবভারতীতেই বেঙ্গালুরু এফসি-র হয়ে নতুন মরসুম শুরু করলেন। গোলও করলেন। অথচ গ্যালারি থেকে উঠল না সুনীল..সুনীল জয়ধ্বনি।
প্রতিপক্ষ বিদেশিহীন ভারতীয় নৌসেনার ফুটবল দল বলেই সম্ভবত বেঙ্গালুরুর নতুন কোচ জেরার জ়ারাগোজ়া যুবভারতীর ভেজা মাঠে সুনীলকে শুরু থেকে খেলানোর ঝুঁকি নেননি। ভারতীয় ফুটবলের সর্বকালের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকারের অভিব্যক্তিই বলে দিচ্ছিল, রিজ়ার্ভ বেঞ্চে বসে থাকা একেবারেই পছন্দ নয়। শ’খানেক দর্শকও গ্যালারি থেকে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ককে মাঠে নামানোর দাবিতে সরব হয়ে উঠেছিলেন।
শুরু থেকেই আধিপত্য ছিল বেঙ্গালুরুর। আলবের্তো নগুয়েরার নেতৃত্বে বেঙ্গালুরুর আক্রমণের ঝড়ের সামনে স্বস্তিতে ছিলেন না পিন্টু মাহাতো, ব্রিটো পি এমের মতো কলকাতার দুই প্রধানে খেলা ফুটবলাররা। ১১ মিনিটে নগুয়েরার বাঁক খাওয়ানো কর্নারে মাথা ছুঁইয়ে ১-০ করেন রাহুল ভেকে। ৩৯ মিনিটে শিব শক্তিকে তুলে সুনীলকে নামালেন জেরার। এক মিনিটের মধ্যেই নিজেদের পেনাল্টি বক্সের মধ্যে বেঙ্গালুরুর রায়ান উইলিয়ামসকে ফাউল করেন নভজ্যোৎ সিংহ। দেখেন লাল কার্ডও। ঠান্ডা মাথায় গোলরক্ষক ভেলুতা বিষ্ণুর ডান দিক দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দিয়ে সুনীল তাকান গ্যালারির দিকে। কিন্তু কোথায় চেনা উন্মাদনা? কোথায় সুনীল...সুনীল গগনভেদী চিৎকার। হয়তো হতাশায় গোলের পরে উচ্ছ্বাস না দেখিয়ে হাঁটতে শুরু করেন সেন্টার লাইনের দিকে। ৮১ মিনিটে ৩-০ করেন হর্ঘে পেরেরা দিয়াস। সংযুক্ত সময়ে (৯০+১ মিনিটে) তিনিই ৪-০ করেন।
নৌসেনাদের গোলের বন্যায় ভাসিয়ে অভিযান শুরু করেও সুনীল যুবভারতী ছাড়লেন নির্লিপ্ত ভাবে হাত তুলে নমস্কার জানিয়ে।
অন্য ম্যাচে ভারতীয় সেনা অঘটন ঘটাল চেন্নাইয়িন এফসিকে ১-০ গোলে হারিয়ে। গোল করেন লিটন শীল।
আজ, বৃহস্পতিবার নেক্সট জেন কাপে ইস্টবেঙ্গলের প্রতিপক্ষ অ্যাস্টন ভিলা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy