কেসি ফেয়ার। ছবি: সংগৃহীত।
মহিলাদের আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেকেই নজির গড়লেন দক্ষিণ কোরিয়ার এক ফুটবলার। মঙ্গলবার বিশ্বকাপে কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে পরিবর্ত হিসাবে নেমেছিলেন কেসি ফেয়ার। তাতেই বিশ্বের কনিষ্ঠতম ফুটবলার হিসাবে বিশ্বকাপ খেলার নজির গড়েছেন তিনি। মহিলা বা পুরুষদের বিশ্বকাপে এর আগে কেউ এত কম বয়সে খেলেননি।
১৬ বছর ২৬ দিন বয়সে বিশ্বকাপের ম্যাচ খেললেন ফেয়ার।
সব থেকে কম বয়সে বিশ্বকাপ খেলার পাশাপাশি আরও একটি নজির গড়েছেন ফেয়ার। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় দলের হয়ে খেলা প্রথম ফুটবলার, যাঁর বাবা বা মায়ের মধ্যে এক জন বিদেশি। ফেয়ারের বাবা আমেরিকার। মা দক্ষিণ কোরিয়ার। ফেয়ারের জন্ম দক্ষিণ কোরিয়ায় হলেও এক মাস বয়সে বাবা-মার সঙ্গে আমেরিকার নিউ জার্সিতে চলে গিয়েছিলেন। সেখানকার প্লেয়ার্স ডেভেলপমেন্ট অ্যাকাডেমিতে ফুটবল শিখেছেন। নিউ জার্সির পিংরি স্কুলে পড়াশোনা করার পাশাপাশি ফুটবল খেলতেন। যদিও আন্তর্জাতিক ফুটবলের জন্য ফেয়ার বেছে নিয়েছেন নিজের জন্মভূমিকে।
বিশ্বকাপে মাঠে নামার সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত ফেয়ার। যদিও দলকে জেতাতে না পারার আক্ষেপ রয়েছে তাঁর। ফেয়ার বলেছেন, ‘‘সত্যি বলছি, মাঠে নামার আগে ভীষণ ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। বলতে পারেন কিছুটা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। মাঠে নামার পর আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে গিয়েছিল। তখন শুধু খেলায় মন ছিল।’’
মঙ্গলবার সিনিয়র দলের হয়ে প্রথম বার মাঠে নামা ফেয়ার দক্ষিণ কোরিয়ার অনূর্ধ্ব ১৭ মহিলা দলের হয়ে দু’টি ম্যাচ খেলেছেন। ২০২৪ সালের এএফসি অনূর্ধ্ব ১৭ এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের দু’টি ম্যাচে পাঁচটি গোল রয়েছে ষোড়শী ফুটবলারের। সেই প্রতিযোগিতায় সাফল্যের সুবাদে দক্ষিণ কোরিয়ার বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পেয়েছেন প্রতিভাবান স্ট্রাইকার।
সব থেকে কম বয়সে বিশ্বকাপ খেলার নজির এর আগে ছিল নাইজেরিয়ার প্রয়াত মহিলা ফুটবলার ইফেয়ানি চিজিনের। ১৯৯৯ সালে মহিলাদের বিশ্বকাপে খেলার সময় তাঁর বয়স ছিল ১৬ বছর ৩৪ দিন। তাঁর থেকে আট দিন কম বয়সে বিশ্বকাপ খেললেন ফেয়ার। ইফেয়ানি নাইজেরিয়ার হয়ে ২০০০ এবং ২০০৮ সালের অলিম্পিক্সে খেলেছিলেন। দেশকে চার বার উইমেন্স আফ্রিকা কাপ অফ নেশনস চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। ২০১৯ সালে তাঁর মৃত্যু হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy