স্যুটকেস হাতে বার্সেলোনার পথে লিয়োনেল মেসি। তাঁর এই যাত্রা নিয়েই গল্প লিখেছেন হার্নান। —ফাইল চিত্র
লিয়োনেল মেসিকে নিয়ে একটি ছোট্ট গল্প লিখেছেন স্পেনের লেখক হার্নান ক্যাসিয়ারি। সেই গল্প শোনানো হয়েছে মেসিকে। আর তা শুনে কেঁদে ফেলেছেন মেসি। কেঁদেছেন তাঁর স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোও। হার্নানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন লিয়ো।
গল্পের নাম ‘মেসি ও তাঁর স্যুটকেস’। সেখানে লেখা, কী ভাবে আর্জেন্টিনার রোসারিয়োর ছোট্ট ছেলেটি বার্সেলোনায় গিয়ে মেসি হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু তার পরেও তাঁর মন থেকে আর্জেন্টিনা বেরিয়ে যায়নি। তাঁর স্যুটকেস গোছানোই থাকত। দেশে ফেরার, দেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। সেই গল্প শুনে কেঁদে ফেলেছেন মেসি।
স্পেনের এক রেডিয়ো জকি অ্যান্ডি কুজনেৎজফের অনুষ্ঠানে হার্নানের জন্য একটি বার্তা পাঠিয়েছেন মেসি। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘‘গল্পটা শুনে আমরা দু’জনেই কাঁদতে শুরু করেছিলাম। আমি তোমাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমাদের আবেগপ্রবণ করে দিয়েছ। আরও এক বার ধন্যবাদ।’’ নিজের রেডিয়ো অনুষ্ঠানে সে কথা জানিয়েছেন অ্যান্ডি। সেই অডিয়ো বার্তা ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
অডিয়ো বার্তায় মেসি আরও বলেছেন, ‘‘আন্তোনেল্লা আমাকে প্রথমে তোমার গল্পের কথা জানিয়েছিল। তার পর আমি শুনি। চোখের জল ধরে রাখতে পারিনি। তুমি যা লিখেছ তার প্রতিটা কথা সত্যি। তাই মনে হল তোমাকে সে কথা জানাই।’’
নিজের গল্পে দু’ধরনের মানুষের কথা বলেছেন হার্নান। এক দল, যাঁরা অন্য দেশে গেলেও নিজেদের স্যুটকেস গুছিয়ে রাখেন। যাতে দরকার পড়লেই দেশে ফিরতে পারেন। অন্য দল, যাঁরা অন্য দেশে গিয়ে স্যুটকেস দেরাজে বন্ধ করে দেন। তাঁরা ফেরার কথা ভাবেন না। মেসি প্রথম শ্রেণির মধ্যে পড়েন। ১২ বছর বয়সে দেশ ছেড়ে বার্সেলোনা গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দেশের হয়ে খেলা, দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন সব সময় ছিল তাঁর।
বার্সেলোনায় থাকার সুবাদে মেসিকে দেখেছেন হার্নান। দেশের হয়ে খেলার আগ্রহ দেখেছেন। সেটাই নিজের গল্পে লিখেছেন। তিনি লিখেছেন, যে বার্সেলোনায় থাকার সময়ও রোসারিয়োর স্থানীয় ভাষায় কথা বলতেন মেসি। সেটা বুঝিয়ে দেয় দেশ ছাড়লেও দেশের প্রতি আবেগ ও ভালবাসা মেসির মধ্যেই ছিল। হার্নানের এই কথাগুলিই আবেগপ্রবণ করে তুলেছে মেসিকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy