ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের প্রাক্তন ফুটবলার রায়ান গিগস। ফাইল চিত্র
আরও বিপাকে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের প্রাক্তন ফুটবলার রায়ান গিগস। আগেই তাঁর বিরুদ্ধে হেনস্থা, মারধর ও এক সঙ্গে নয় মহিলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক রাখার অভিযোগ করেছিলেন প্রাক্তন বান্ধবী কেট গ্রেভিল। এ বার কেটের অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন এক ক্রিকেটারের স্ত্রীর সঙ্গেও শারীরিক সম্পর্ক ছিল গিগসের।
প্রাক্তন ফুটবলারের উদ্দেশে একটি চিঠিতে কেট লিখেছেন, ‘তুমি কথায় কথায় মিথ্যা বলতে। আমি বুঝতে পারতাম। কিন্তু আমি তোমাকে বিশ্বাস করতে চেয়েছিলাম। কারণ, আমি তোমাকে ভালবাসতাম। তুমি দিনের পর দিন আমাকে ঠকিয়েছ। আমার মতো অনেক মেয়ের সঙ্গে তোমার সম্পর্ক ছিল।’
চিঠিতেই ক্রিকেটারের স্ত্রীর প্রসঙ্গে লিখেছেন কেট। তিনি লিখেছেন, ‘আমি ওর বিষয়ে সব জানতাম। ও এক জনের স্ত্রী, সেটা জানার পরেও তুমি ওর সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছিলে। খেলতে গিয়ে ওয়াশিংটনে ওর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কও করেছ।’ তবে কোনও ক্রিকেটারের নাম করেননি কেট।
ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে খেলার সময়ই গিগসের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান কেট। সে সময় তিনি একটি জনসংযোগ সংস্থায় কাজ করতেন। পরে গিগসের ম্যানেজার হিসাবেও কাজ করেন তিনি। ৪৮ বছরের প্রাক্তন ফুটবলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০২০ সালে ১ নভেম্বর কেট ও তাঁর বোন এমাকে মারধর করেন তিনি। সে দিনই কেটের অভিযোগ পেয়ে গিগসের ম্যাঞ্চেস্টারের বাড়িতে পুলিশ যায়। সেই ঘটনার পর তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে যায়।
২০১৭ সাল থেকেই গিগসের সঙ্গে কেটের সম্পর্কের অবনতির শুরু। কেট গিগসের বিরুদ্ধে জোর করে আটকে রাখা, অপমানজনক মন্তব্য করা, হয়রানি করা, খারাপ ব্যবহার-সহ একাধিক অভিযোগ জানিয়েছেন পুলিশের কাছে। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে গিগসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তিনি জামিন পান। পুলিশি তদন্তে বার বার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গিগস। গত বছর এপ্রিলে নিম্ন আদালতের শুনানিতে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে জানান প্রাক্তন ফুটবলার।
ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের প্রাক্তন কোচ অ্যালেক্স ফার্গুসনের সমর্থন পেয়েছেন গিগস। আদালতে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে ফার্গুসন জানিয়েছেন, গিগসকে তিনি কোনও দিন মাথাগরম করতে দেখেননি। উল্টে দলের সবাইকে তিনি গিগসের মতো ঠান্ডা মাথার ফুটবলার হওয়ার পরামর্শ দিতেন। সবাই গিগসকে দেখে শেখার চেষ্টা করত বলেও জানিয়েছেন ফার্গুসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy