বিপাকে গিগস। ফাইল ছবি।
বিপাকে প্রাক্তন ফুটবলার রায়ান গিগস। তাঁর বিরুদ্ধে প্রাক্তন বান্ধবীর আনা হেনস্থার অভিযোগের শুনানি শুরু হল আদালতে। গিগস আগেই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। যদিও আদালতে অভিযোগ প্রমাণ হলে পাঁচ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে গিগসের।
ম্যাঞ্চস্টার ইউনাইটেডে খেলার সময়ই গিগসের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় কেট গ্রেভিলের। সে সময় কেট একটি জনসংযোগ সংস্থায় কাজ করতেন। পরে গিগসের ম্যানেজার হিসাবেও কাজ করেন তিনি। ৪৮ বছরের প্রাক্তন ফুটবলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০২০ সালে ১ নভেম্বর কেটকে মারধর করেন তিনি। সে দিনই কেটের অভিযোগ পেয়ে গিগসের ম্যাঞ্চেস্টারের বাড়িতে পুলিশ যায়। গিগসের বিরুদ্ধে কেট মারধর করা ছাড়াও বলপূর্বক নিয়ন্ত্রণ করার অভিযোগ করেন। একই দিনে কেটের বোন এমা গ্রেভিলকেও হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে গিগসের বিরুদ্ধে।
সেই ঘটনার পর তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে যায়। ২০১৭ সাল থেকেই গিগসের সঙ্গে কেটের সম্পর্কের অবনতির শুরু। গিগসের বিরুদ্ধে একাধিক বার হেনস্থার অভিযোগ করেন কেট। গিগসের বিরুদ্ধে ৩৬ বছরের কেট আটকে রাখা, অপমানজনক মন্তব্য করা, হয়রানি করা, খারাপ ব্যবহার-সহ একাধিক অভিযোগ জানান পুলিশের কাছে। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে গিগসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তিনি জামিন পান। পুলিশি তদন্তে বার বার গিগস অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। গত বছর এপ্রিলে নিম্ন আদালতের শুনানিতে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে জানান প্রাক্তন ফুটবলার।
ওয়েলসের জাতীয় দলের কোচের পদ থেকে গত জুন মাসে ইস্তফা দিয়েছেন গিগস। উচ্চ আদালতে মামলার শুনানিতে হাজির থাকার জন্যই ওই সিদ্ধান্ত নেন। কারণ ব্যক্তিগত সমস্যার জন্য দলকে অসুবিধায় ফেলতে চাননি। উল্লেখ্য, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ২৩ বছরে ৯৬৩টি ম্যাচ খেলেছেন। ১৩ বার প্রিমিয়ার লিগ এবং দু’বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী দলের সদস্য তিনি। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ওয়েলসের জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব নেন গিগস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy