পেলে। —ফাইল চিত্র।
সাও পাওলোর সমুদ্র সৈকতের কাছে শখ করে বিলাসবহুল বাড়ি তৈরি করেছিলেন পেলে। সেখানেই জীবনের শেষ ৪০টা বছর কাটিয়েছিলেন ব্রাজিলের হয়ে তিন বার বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার। তাঁর মৃত্যুর পর থেকে পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে রয়েছে ১১ লাখ পাউন্ডের (প্রায় ১১ কোটি ৬০ লাখ টাকা) বাড়িটি।
২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর প্রয়াত হয়েছেন পেলে। তার পর থেকে বেলার দশা তাঁর সাধের বাড়ির। দেখার কেউ নেই। স্থানীয় দুষ্কৃতীরা বিনা বাধায় লুটপাট চালাচ্ছে সেই বাড়িতে। হুঁশ নেই পরিবারের সদস্য এবং প্রশাসনের। সমুদ্র থেকে ৫০০ মিটার দূরে বিখ্যাত পার্নামবুকো সৈকতে অবস্থিত পেলের বাড়ি এখন অসংখ্য স্মৃতির সমাধি ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
১৯৮১ সালে নিউইয়র্ক থেকে ব্রাজিলে চলে এসেছিলেন পেলে। নিজের আত্মীয় পরিজনদের কাছাকাছি থাকার জন্য তৈরি করিয়েছিলেন সাধের বাড়ি। সুইমিং পুল, বাগান, সিনেমা দেখার ঘর, পদকের ঘর ছাড়াও রয়েছে ১২টি থাকার ঘর। বাড়ির চৌহদ্দির মধ্যে রয়েছে একটি ছোট ফুটবল মাঠ, টেনিস কোর্ট, ফুটভলি কোর্ট। মায়ের জন্য তৈরি করিয়েছিলেন একটি ছোট গির্জাও। বিনোদনের জন্যই বাড়ির বাইরে পা রাখার প্রয়োজন হত না পেলের। এই সব কিছু নষ্ট হচ্ছে অযত্নে, অবহেলায়। স্থানীয় দুষ্কৃতীরা বাড়ির বিভিন্ন জিনিস নষ্ট করেছে। বাড়ির সিঁড়ি, দেওয়ালের বিভিন্ন অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। ক্ষতি করা হয়েছে আসবাব পত্র। চুরি গিয়েছে পেলের বহু ফুটবল স্মারক।
মৃত্যুর আগে বছর দুয়েক বাড়ির বিভিন্ন কর দিতে পারেননি অসুস্থ পেলে। গত কয়েক বছরে বকেয়া করের পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে তাঁর সন্তানেরা বাড়ির দখল নিতে পারছেন না। বাড়ির দখল নেওয়ার জন্য যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন, তা নেই তাঁদের কাছে। আইনি জটিলতায় ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে পেলের সাধের প্রাসাদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy