অস্কার ব্রুজ়ো। ছবি: সংগৃহীত।
জল্পনা মতো অস্কার ব্রুজ়োকেই কোচ হিসাবে বেছে নিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল। মঙ্গলবার তাঁর নাম ক্লাবের পক্ষ থেকে সরকারি ভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে চলতি মরসুমের শেষ পর্যন্ত চুক্তি হয়েছে। কার্লেস কুয়াদ্রাত ইস্তফা দেওয়ার পর থেকেই নতুন কোচের সন্ধানে ছিলেন লাল-হলুদ কর্তারা।
গত ছ’বছর বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসের কোচ ছিলেন ব্রুজ়ো। বসুন্ধরা পেশাদার লিগে খেলা শুরু করার পর থেকে ব্রুজ়োর হাতে তাদের ভোল বদলে যায়। ব্রুজ়োর কোচিংয়ে ঘরোয়া ফুটবলে ১১টি ট্রফি জিতেছে তারা। বাংলাদেশের ফুটবলে অন্যতম সফল কোচ বলা হয় ব্রুজ়োকে। গত ৫ জুলাই বসুন্ধরার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন তিনি। তার পর থেকে কোনও ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তাই ইস্টবেঙ্গল কর্তারা প্রথম থেকেই তাঁকে পেতে ঝাঁপিয়েছিলেন।
ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কেও অভিজ্ঞতা রয়েছে ব্রুজ়োর। অতীতে আইএসএলের ক্লাব মুম্বই সিটি এফসি-র সহকারী কোচ হিসাবে কাজ করেছেন। আইএসএল তাঁর কাছে অচেনা নয়। এ ছাড়া ১২ বছর আগে আই লিগে স্পোর্টিং ক্লুব দ্য গোয়ার কোচ ছিলেন তিনি। ব্রুজ়ো ইস্টবেঙ্গল কোচ হতে পারে এ কথা পাঁচ দিন আগেই লিখেছিল আনন্দবাজার অনলাইন।
ইমামি গোষ্ঠীর পক্ষে বিভাস বর্ধন আগরওয়াল বলেছেন, ‘‘ব্রুজ়ো এক জন চ্যাম্পিয়ন কোচ। এশিয়ার ফুটবলে তাঁর রেকর্ডই প্রমাণ। বসুন্ধরা কিংসের হয়ে প্রচুর ট্রফি জিতেছেন। এএফসির প্রতিযোগিতা সম্পর্কেও যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। মুম্বই সিটি এফসির সঙ্গে এবং স্পোর্টিং ক্লুব দ্য গোয়ার কোচ হিসাবে অতীতে কাজ করেছেন। তাই ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কেও তাঁর স্বচ্ছ ধারণা রয়েছে। বাকি সরসুমের জন্য ব্রুজোঁকে আমাদের শুভেচ্ছা। আমাদের বিশ্বাস, ব্রুজ়ো আমাদের ক্লাবের মান উন্নত করবেন এবং সমর্থকদের গর্বিত হওয়ার সুযোগ করে দেবেন।’’
৪৭ বছরের কোচও ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্ব পেয়ে খুশি। ক্লাবকে সাফল্যের রাস্তায় ফেরানোই লক্ষ্য তাঁর। আইএসএলের পাশাপাশি মাথায় রাখছেন এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের কথাও। ব্রুজ়ো বলেছেন, ‘‘আমি আত্মবিশ্বাসী শুধু আইএসএলে নয়, এএফসির প্রতিযোগিতাতেও আমরা ভাল ফল করব। ভারতীয় মরসুমের মাঝামাঝি জায়গায় রয়েছি আমরা। ইতিমধ্যেই প্রস্তুতির সেরা ব্যবস্থা করা হয়েছে। খেলোয়াড়দের কী করে সেরা ফর্মে ফিরিয়ে আনা যায়, তা নিয়েও আমরা কাজ করব। খেলোয়াড়দের মধ্যে জয়ের মানসিকতা ফিরিয়ে আনতে হবে। যত বেশি সম্ভব ম্যাচ জেতাই লক্ষ্য থাকবে আমাদের।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গল সমর্থকেরা অত্যন্ত আবেগপ্রবণ। তাঁদের পাশে থাকার অনুরোধ করব। ইস্টবেঙ্গল পরিবারের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমিও অত্যন্ত খুশি। সমর্থকদের শর্তহীন ভালবাসার প্রতিদান আমরা মাঠের ফলাফলে দেওয়ার চেষ্টা করব।’’
আইএসএলে প্রথম তিন ম্যাচ হারের পর ইস্তফা দেন কুয়াদ্রাত। তার পর অস্থায়ী ভাবে দলের দায়িত্বে ছিলেন বিনো জর্জ। তিনিও ব্যর্থতার চাকা ঘোরাতে পারেননি। এখনও পর্যন্ত আইএসএলে ইস্টবেঙ্গল কোনও পয়েন্ট পায়নি। এ বার দায়িত্ব ব্রুজোঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy