Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
Mohun Bagan Super Giant

সমস্যায় মোহনবাগান! মাঠ নেই, পাওয়া যাচ্ছে না ঘর, জামশেদপুরে ডুরান্ড খেলতে গিয়ে চিন্তায় সবুজ-মেরুন

২৩ অগস্ট মোহনবাগানের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ। কিন্তু মোহনবাগান সূত্রে জানা গিয়েছে, জামশেদপুরে অনুশীলনের জন্য কোনও মাঠ নেই। সমস্যায় সবুজ-মেরুন শিবির।

Mohun Bagan

মোহনবাগানের অনুশীলন। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০২৪ ১৩:৪৫
Share: Save:

জামশেদপুরে ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচ খেলতে গিয়ে সমস্যায় মোহনবাগান। হোটেলের ঘর এবং অনুশীলনের মাঠ পাওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়েছে সবুজ-মেরুন শিবির।

শুক্রবার ২৩ অগস্ট মোহনবাগানের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ম্যাচের আগে চিন্তায় পড়েছেন কোচ জোসে মোলিনা। কারণ, জামশেদপুরে অনুশীলনের জন্য কোনও মাঠ নেই। মূল মাঠে অনুশীলন করার অনুমতি নেই। মোহনবাগান দলে একাধিক বিশ্বকাপার রয়েছেন। যে কোনও মাঠে অনুশীলনের জন্য তাঁদের নামিয়ে দিতে চাইছেন না কোচ। তাতে চোট পাওয়ার আশঙ্কা থাকছে।

অন্য দিকে, জামশেদপুরে হোটেল নিয়েও সমস্যায় মোহনবাগান। দলের প্রয়োজন ৩২টি ঘর। জানা গেল, ২০টির বেশি ঘর পাওয়া যাচ্ছে না। দলকে দু’টি আলাদা হোটেলে রাখাও সম্ভব নয়। তাতে একেবারেই রাজি নয় মোহনবাগান। চেষ্টা করা হচ্ছে একই হোটেলে সকলের থাকার ব্যবস্থা করতে।

এই সব সমস্যার কারণে মোহনবাগান চাইছে তারা যদি সেমিফাইনাল বা ফাইনালে ওঠে, সেই ম্যাচগুলি যেন অবশ্যই কলকাতায় হয়। ডুরান্ড কাপের সূচি অনুযায়ী, দু’টি সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল কলকাতাতেই হওয়ার কথা। কিন্তু আরজি কর-কাণ্ডের পর যা পরিস্থিতি, তাতে কেউ কেউ মনে করছেন ডুরান্ডের আর কোনও ম্যাচই হয়তো কলকাতায় হবে না। বিশেষ করে গত রবিবারের পর এই সম্ভাবনা আরও জোরদার হয়েছে বলে মনে করছে ওই অংশ। ডুরান্ডের গ্রুপ পর্বে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ বাতিল করে দেওয়ার পর গত রবিবার রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছিলেন সমর্থকেরা। আরজি কর-কাণ্ডে দোষীদের শাস্তির দাবির সঙ্গে তাঁরা ডার্বি না হওয়া নিয়েও ক্ষোভ জানান। অনেকে বলেন, “প্রতিবাদ মিছিল আটকাতে এত পুলিশ দেওয়া গেল, অথচ ডার্বি আয়োজনে পুলিশ পাওয়া গেল না?”

কিন্তু একটি অংশ মনে করছে, আর নতুন করে যুবভারতী থেকে ম্যাচ সরানো হবে না। তাঁদের দু’টি যুক্তি রয়েছে। এক, ফাইনাল ৩১ অগস্ট। ওই দিন যদি ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান মুখোমুখি হয়, তা হলেও যুবভারতীতেই খেলা হবে। কারণ, তত দিনে পরিস্থিতি শান্ত, স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা তাঁদের। আর তা যদি না-ও হয়, তা হলেও উদ্যোক্তারা আর ম্যাচ সরাবেন না। কারণ, রবিবার বোঝা গিয়েছে, আরজি কর-কাণ্ডে ফুটবলপ্রেমীরা যতটা ক্ষুব্ধ, ততটাই তাঁরা বিরক্ত ডার্বি বাতিল হওয়ায়।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE