যুবভারতীতে শেষ মুহূর্তের গোলে জয় মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের। যা পরিশ্রমের ফল বলে মনে করছেন কোচ হোসে মোলিনা। প্রথম পর্বে ১-২ গোলে পিছিয়ে থাকার পর দ্বিতীয় পর্বে ২-০ গোলে জামশেদপুরকে হারিয়ে দেয় মোহনবাগান। যে জয়ের পর মাঠেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায় কোচ মোলিনাকে।
সাংবাদিক বৈঠকেও উচ্ছ্বাস চেপে রাখতে পারেননি মোলিনা। তিনি বলেন, “এই জয়টা সত্যিই কঠিন ছিল। জামশেদপুর যথেষ্ট ভাল খেলেছে। রক্ষণভাগ সামলে খুব ভাল খেলছিল ওরা। আমাদের চাপে ফেলে জিততেও চেষ্টা করেছিল। কিন্তু এই জয়টা আমাদের প্রাপ্য ছিল।”
আপুইয়ার গোলের প্রশংসাও করেছেন কোচ মোলিনা। তিনি বলেন, “শেষ মুহূর্তে আপুইয়ার গোলটা সত্যিই অসাধারণ ছিল। দুর্দান্ত মুহূর্ত। এই গোলটা পাওয়ার জন্য আমরা ৯০ মিনিট ধরে অনেক লড়াই করেছি। এই গোলটা ওর প্রাপ্য ছিল। গোলটা করার সময় আপুইয়া নিশ্চয়ই ভাবছিল, “আমি শুট করব আর গোল করব।” কারণ, কেউ যদি সেটা না ভাবে, তা হলে সে শট নেবেই না। ও সেটা করে দেখায়। এটাই সবার সম্মিলিত পরিশ্রমের ফল। এমন একটা দলের কোচ হওয়ায় আমি খুশি।”
আরও পড়ুন:
গত ম্যাচে হারের পর এই ম্যাচের পারফরম্যান্সে খুশি সবুজ-মেরুন কোচ। মোলিনা বলেন, “আমি দলের পারফরম্যান্সে, বিশেষ করে শেষ পর্যন্ত যে ভাবে তারা লড়াই করেছে, তাতে খুব খুশি। ওদের বলেছিলাম, নিজেদের উপর আস্থা রাখো, শান্ত থাকো। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলো। কখনও হতাশ হবে না। ওরা পরিকল্পনা অনুযায়ীই খেলেছে। অবশেষে আমাদের যা প্রাপ্য ছিল, তা পেয়েছি।”
ফাইনালে মোহনবাগানের বিপক্ষে বেঙ্গালুরু এফসি। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের কোচ বলেন, “ফাইনালে কেউই এগিয়ে নেই। যে কোনও কিছু ঘটতে পারে। অবশ্যই আমরা নিজেদের উপর আস্থা রাখি। আমরা যদি নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে পারি, তা হলে ট্রফিও জিততে পারব। কিন্তু আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। এখন আমাদের সবার আগে সুস্থ হতে হবে। ম্যাচ খেলার ধকল কাটিয়ে উঠতে হবে। আমরা প্রতিপক্ষকে সম্মান করি। তারা (বেঙ্গালুরু) পুরো মরসুম খুব ভাল খেলেছে।”