Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Mohun Bagan

এএফসি কাপে প্রথম হার মোহনবাগানের, বাংলাদেশের বসুন্ধরার কাছে হেরে ফিরছে সবুজ-মেরুন

এএফসি কাপে প্রথম হারল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। সোমবার ঢাকায় বাংলাদেশের ক্লাব বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে হেরে গেল তারা। ১-২ গোলে হারল জুয়ান ফেরান্দোর দল।

football

লিস্টনের (ডান দিকে) গোলেও হেরে গেল মোহনবাগান। ছবি: টুইটার।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২৩ ২১:৩০
Share: Save:

এএফসি কাপে প্রথম হারল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। সোমবার ঢাকায় বাংলাদেশের ক্লাব বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে হেরে গেল তারা। ১-২ গোলে হারল জুয়ান ফেরান্দোর দল। প্রথম দু’টি ম্যাচে ওড়িশা এবং মাজিয়াকে হারালেও তৃতীয় ম্যাচে ঘরের মাঠে এই বসুন্ধরার কাছেই আটকে গিয়েছিল মোহনবাগান। অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে গিয়ে হেরে গেল তারা। গ্রুপেও চলে গেল দ্বিতীয় স্থানে। পয়েন্ট একই থাকলেও মুখোমুখি সাক্ষাতের ভিত্তিতে বসুন্ধরা উঠে এল একে।

খেলার শুরুতেই দুই দলের ফুটবলারেরা ঝামেলায় জড়ান। প্রথমেই একটি ফাউলকে ঘিরে ধাক্কাধাক্কি হয় হুগো বুমোস এবং মিগুয়েল ফেরেরার মধ্যে। পরের মিনিটেই রকি এবং লিস্টন কোলাসো তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন। আরেকদিকে ধাক্কাধাক্কি করেন বিশ্বনাথ ঘোষ এবং শুভাশিস বসু। তবে ঝামেলা এড়িয়ে স্বাভাবিক খেলা শুরু হতে সম লাগেনি। সাত মিনিটে গোল করেই দিচ্ছিল বসুন্ধরা। ডোরিয়েলটনের শট মোহনবাগানের এক ফুটবলারের গায়ে লেগে গোলে ঢুকে যাচ্ছিল। বাঁচিয়ে দেন বিশাল কাইথ। ফিরতি বলেও ডোরিয়েলটন শট নেন। সেটা সহজেই বাঁচান বিশাল।

বসুন্ধরার ফুটবলারেরা সেই সময় দারুণ কিছু পাস খেলেন, যা সামলাতে পারেনি মোহনবাগান। ১৩ মিনিটে রোবিনহোও প্রায় গোল করে ফেলেন। অল্পের জন্যে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরের মিনিটেই লিস্টন কোলাসোর শট বাঁচান বসুন্ধরার গোলকিপার শ্রাবণ। তবে লিস্টন গোল করতে সময় নেননি। ১৭ মিনিটে গোলকিপার শ্রাবণের ভুলে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন তিনি। একটি ক্রস বাঁচাতে পারেননি শ্রাবণ। সেই বল পেয়ে গোল করেন লিস্টন।

চার মিনিট পরে সমতা ফেরানোর সুযোগ হারান ডোরিয়েলটন। ব্রোসোউয়ের ভাল পাস পেলেও শট বারের উপর দিয়ে উড়িয়ে দেন। এর পর অন্তত দু’টি ক্ষেত্রে বসুন্ধরার ত্রাতা হয়ে দাঁড়ান গোলকিপার শ্রাবণ। দু’বারই জেসন কামিংসের শট আটকে দেন তিনি। প্রথমে ২৮ মিনিটের মাথায় কামিংসের ভলি বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঁচিয়ে। যদিও সে ক্ষেত্রে কামিংস অফসাইডে ছিলেন। পরে খুব কাছ থেকে অস্ট্রেলিয়ার ফুটবলারের আরেকটি শট আটকে দেন। প্রথমার্ধের খেলা শেষের এক মিনিট আগে সমতা ফেরায় বসুন্ধরা। বাঁ পায়ের দুর্দান্ত শটে গোল করেন মিগুয়েল। বিশালের কিছুই করার ছিল না।

দ্বিতীয়ার্ধের খেলার শুরুতে মোহনবাগান আক্রমণ করলেও ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণ নিতে থাকে বসুন্ধরা। মিগুয়েলের আরেকটি শট বাঁচান বিশাল। ফিরতি বলে রোবিনহোর শট বার কাঁপিয়ে দেয়। ৫৭ মিনিটের মাথায় বুমোস গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন। শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এর পর খেলায় একচেটিয়া দাপট দেখা যায় বসুন্ধরার। গোল পায়নি তা দুর্ভাগ্য। মাঝে দু’বার সাহাল আব্দুল সামাদ এবং কামিংস সুযোগ পেলেও গোল করতে পারেননি।

ধারাবাহিক আক্রমণের ফল পায় বসুন্ধরা। ৮২ মিনিটে গোল করেন রোবিনহো। ডোরিয়েলটনের পাস পেয়ে গোল করেন। মোহনবাগান গোলকিপার বিশাল চেষ্টা করেও আটকাতে পারেননি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy