মোহনবাগানের কোচ আন্তোনিয়ো হাবাস। ছবি: এক্স।
গত বুধবারই দেশের পশ্চিম প্রান্ত গোয়ায় খেলে এসেছে মোহনবাগান। তার তিন দিনের মধ্যেই ঘরের মাঠে নামতে হচ্ছে নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে। শনিবার ঘরের মাঠে খেলতে নামার এক দিন আগে ইস্টবেঙ্গল কোচের সুরেই সুর মেলালেন মোহনবাগানের কোচ আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস। আইএসএলের সূচি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। জানালেন, এ ভাবে চললে সব ম্যাচে একই দল নামানো যাবে না। দর্শকদের কাছেও এত ঘন ঘন ম্যাচ সমস্যার।
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে হাবাস বলেন, “পুরো অবাস্তব ব্যাপার (এই সূচি)। শুধু আমাদের নয়, সব দলের ক্ষেত্রেই এটা দেখা যাচ্ছে। একটা দল সাত দিন বিশ্রাম নিয়ে তার পর এখানে ম্যাচ খেলতে আসছে। আর আমরা দেশের আর এক প্রান্ত গোয়া থেকে ফিরে দু’দিনের মধ্যে ম্যাচ খেলতে নামছি। আমি তো ভাল করে ঘুমোতেই পারিনি। খুব কঠিন এ ভাবে খেলা। কিন্তু এটার সঙ্গে আমাদের মানিয়ে নিতে হবে।”
হাবাসের সংযোজন, “শুধু ফুটবলারদের জন্য নয়, দর্শকদের কথাও মাথায় রাখতেই হবে। আমরা প্রায়ই বলি মাঠে কোনও দর্শক হচ্ছে না। আরে দর্শকদের সময়কেও তো গুরুত্ব দিতে হবে। এত ঘন ঘন খেলা দেখলে ওরা ক্লান্ত হয়ে যেতেই পারেন। সবার কথাই মাথায় রাখতে হবে।”
গত সোমবার ইস্টবেঙ্গলের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত বলেছিলেন, “আমাদের বুঝতে হবে খেলোয়াড়েরাও মানুষ। পারদো (তখনও ছিটকে যাননি), সাউল সুপার কাপ থেকেই এক টানা খেলছে। প্রায় সব ম্যাচেই পুরো সময় খেলেছে। হঠাৎ করেই ওদের একটা মাসে সাত-আটটা ম্যাচ খেলতে হচ্ছে। অক্টোবর, নভেম্বরে মাত্র দুটো করে ম্যাচ খেলেছি। ভারতীয় ফুটবলে সূচিতে এখন এ রকমই হচ্ছে। তাই এটার সঙ্গে আমাদের মানিয়ে নিতেই হবে। আমাকে দলের ফুটবলারদের সুরক্ষার দিকটাও ভাবতে হবে। আমাদের সামনে এখনও ১০টা ফাইনাল রয়েছে। কিন্তু সব ফাইনালের সমান গুরুত্ব নেই। তাই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলাব।”
সেই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলানোর কথা বললেন হাবাসও। নর্থইস্ট ম্যাচে একাধিক বদল দেখা গেলে অবাক হওয়ার কিছুই নয়। হাবাস বলেছেন, “ফুটবলারদের রিকভারির দিকটা আমাদের মাথায় রাখতে হচ্ছে। গোয়ায় হোটেলে গিয়ে বিশ্রাম নিয়েছি। ফেরার সময়েও রিকভারির চেষ্টা করেছি। কোনও অজুহাত দিতে চাই না। তবে দল গঠনের আগে সব দিক মাথায় রাখতে হচ্ছে। কাদের প্রথম একাদশে খেলাব, কাদের বিশ্রাম দেব সেটাও ভেবে নিচ্ছি। দলের সব ফুটবলারদের মধ্যে যাতে একটা ভারসাম্য থাকে, সেটা দেখছে আমাদের সাপোর্ট স্টাফেরা। দু’দিন আগেই যে ফুটবলারটা ৯০ মিনিট খেলেছে, তার পক্ষে বিশ্রাম না নিয়ে আবার ৯০ মিনিট খেলা সমস্যার। সব খেলোয়াড়দের থেকে সেরাটা যাতে বার করে আনা যায় সেটা দেখাই সাপোর্ট স্টাফদের কাজ। তার জন্য বিশ্রাম দরকার।”
জনি কাউকো শনিবারের ম্যাচে শুরু থেকে খেলতে পারেন। ফিনল্যান্ডের ফুটবলারের সম্পর্কে হাবাস বলেছেন, “কাউকো ১০০ শতাংশ ফিট। ওকে দেখে মনেই হচ্ছে না যে ১২ মাস ফুটবল খেলেনি। পেশাদার ফুটবলারেরা এ রকমই হয়।” তবে আনোয়ার আলি কবে ফিট হবেন তার নিশ্চয়তা দিতে পারলেন না তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy