মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের তাঁবু। ছবি: সমাজমাধ্যম।
মহমেডান ক্লাবের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ক্লাবের বিনিয়োগকারী সংস্থা বাঙ্কারহিলের কর্তা দীপক কুমার সিংহ। সেই সমস্যা মেটাতে আসরে নামতে হল ক্লাবকে। সোমবার কার্যকরী সমিতির বৈঠকের পর জানানো হল, বাঙ্কারহিল, আর এক বিনিয়োগকারী সংস্থা শ্রাচী স্পোর্টস এবং ক্লাব একসঙ্গে কথা বলে সমস্যা মেটাবে। এ দিনই মহমেডানের সহ-সভাপতি হিসাবে ঘোষণা করা হল রাহুল টোডির নাম।
আইএসএলে লাগাতার ব্যর্থতার পর দলগঠন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মহমেডানের কিছু কর্তা। নাম না করে বাঙ্কারহিলকে দায়ী করেছিলেন, যারা শুরু থেকে দলগঠনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। বিষয়টি ভাল ভাবে নেয়নি বাঙ্কারহিলও। তারা দিন কয়েক আগে চিঠি দিয়ে মহমেডানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার হুমকি দেয়।
সেই চিঠিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না মহমেডান। তারা জানিয়েছে, শ্রাচীর তরফে খেলোয়াড়দের সই এবং চুক্তি সংক্রান্ত কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে বাঙ্কারহিলের কাছে। যে হেতু দুই সংস্থার হাতে ক্লাবের সমান অংশীদারিত্ব রয়েছে, তাই তথ্য চাওয়া হয়েছে। যদি বাঙ্কারহিল সেই কাগজপত্র না দিতে পারে, তা হলে তাদের বিরুদ্ধে পাল্টা আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে মহমেডান ক্লাব।
এ দিন ক্লাবের সভাপতি আমিরুদ্দিন ববি বলেন, “দুই বিনিয়োগকারীর মধ্যে যোগাযোগের অভাব দেখা গিয়েছে। সেই সমস্যা মেটাতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিচ্ছে ক্লাব। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে চিঠি দিয়ে ওদের বৈঠকের জন্য ডাকা হবে। সেখানেই সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হবে। যে অভাবটা হচ্ছে সেটা আমরা পূরণ করার চেষ্টা করব। যদি কোনও কারচুপি থেকে থাকে তা হলে সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা চাইছি সবাই মিলে একসঙ্গে বসে কাজ করতে।”
ববি জানিয়েছেন, দলগঠনের ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছে বাঙ্কারহিলই। সেখানে মহমেডানের কর্তারা জড়াননি। আইএসএলের আগে শ্রাচী স্পোর্টস বিনিয়োগকারী হয়ে আসায় এ বার তাদের মতামতকেও গুরুত্ব দেওয়া হবে। সে কারণেই শ্রাচীর কর্ণধার টোডিকে সহ-সভাপতি করা হয়েছে। তমাল ঘোষাল স্থান পেয়েছেন কার্যকরী সমিতিতে।
এ দিকে, প্রাক্তন ফুটবল রহিম নবি এবং শেখ আজিমকে বাদ দেওয়া হয়েছে কার্যকরী সমিতি থেকে। নেওয়া হয়েছে প্রাক্তন ফুটবলার সাবির আলিকে। ক্লাবকর্তাদের অভিযোগ, প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও মহমেডানের বৈঠকে যোগ দেওয়া বা দলকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে কোনও ভূমিকা নেননি এই দুই ফুটবলার। তবে সাবির ফেডারেশনের কার্যকরী সমিতিতেও থাকায় তিনি কী ভাবে মহমেডানের দায়িত্ব সামলাবেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছেন। যদিও ববির দাবি, “উনি রাজি হয়েছেন বলে আমরা কমিটিতে নিয়েছি। পরে সমস্যা হলে দেখা যাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy