গোল করে উল্লাস মোহনবাগানের আর্মান্দো সাদিকুর। ছবি: এক্স।
মোহনবাগান- ২ (কামিংস, সাদিকু)
শ্রীনিধি- ১ (উইলিয়াম)
একই দিনে জয় কলকাতার দুই প্রধানের। দুপুরটা যদি ইস্টবেঙ্গলের হয় তা হলে রাত মোহনবাগানের। সুপার কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে শ্রীনিধি ডেকানকে ২-১ গোলে হারাল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। প্রথমে পিছিয়ে পড়েছিল বাগান। সেখান থেকে দলকে টেনে তুললেন জেসন কামিংস ও আর্মান্দো সাদিকু। দুই বিদেশির গোলে জিতল বাগান।
কোচ জুয়ান ফেরান্দোকে সরিয়ে দেওয়ার পরে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান। নতুন কোচ আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস এখনও দলের সঙ্গে যোগ দেননি। তাই কলিঙ্গ স্টেডিয়াম শ্রীনিধি ডেকানের বিরুদ্ধে কোচের দায়িত্ব সামলান সহকারী কোচ ক্লিফোর্ড মিরান্ডা। সুপার কাপের প্রথম ম্যাচে শুরু থেকেই পাঁচ বিদেশিকে নামিয়ে দেন মিরান্ডা। যদিও ভারতীয় ব্রিগেডে কয়েক জন তরুণ ফুটবলার শুরু করেন।
খাতায়-কলমে শক্তিশালী মোহনবাগানের বিরুদ্ধে শুরুটা ভাল করে শ্রীনিধি। তারাই বেশি আক্রমণ করতে থাকে। অন্য দিকে বেশ কয়েক জন ফুটবলার অনভ্যস্ত জায়গায় খেলায় মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগছিল বাগানের। ১৭ মিনিটের মাথায় গোল করা সুযোগ পান শ্রীনিধির লালরোমাওয়াইয়া। বাগান গোলরক্ষক অর্শ আনোয়ার নিজের জায়গায় ছিলেন না। কিন্তু গোল করতে পারেননি তিনি।
বাগানকে প্রথম ধাক্কা দেয় শ্রীনিধিই। ২৭ মিনিটের মাথায় বক্সের মধ্যে লালরোমাওয়াইয়াকে ফাউল করেন সুমিত রাঠি। পেনাল্টি পায় শ্রীনিধি। গোল করেন উইলিয়াম অলিভিয়েরা। গোল খাওয়ার পরে শোধ করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা। আক্রমণ বাড়ায় তারা। তার ফলও মেলে। ৩৯ মিনিটের মাথায় সমতা ফেরান কামিংস। অভিষেক সূর্যবংশীর শট বারে লেগে ফেরে। ফিরতি বল জালে জড়িয়ে দেন কামিংস।
দ্বিতীয়ার্ধে অনেক বেশি আক্রমণাত্মক ফুটবল শুরু করে বাগান। যত খেলা গড়াচ্ছিল তত বোঝাপড়া ভাল হচ্ছিল দলের ফুটবলারদের। মাঝমাঠের দখল বেশি ছিল বাগানের। কিন্তু সেখান থেকে ফসল তোলা যাচ্ছিল না। কারণ, বক্সের কাছে এসে খেই হারাচ্ছিলেন বাগান ফুটবলাররা। ঠিক মতো ক্রস করতে পারছিলেন না কিয়ান নাসিরি, আশিস রাইরা। ফলে তা কাজে লাগাতে সমস্যা হচ্ছিল সাদিকু, দিমিত্রি পেত্রাতোসদের।
মাঝমাঠে হুগো বুমোস ভাল খেলছিলেন। মরিয়া হয়ে গোল বাঁচাচ্ছিলেন শ্রীনিধির ফুটবলাররা। বেশ কয়েকটি কর্নার পায় বাগান। কিন্তু তা থেকেও গোল আসেনি। ৭১ মিনিটের মাথায় আশিসের দক্ষতায় গোলের রাস্তা খোলে বাগান। ডান প্রান্ত থেকে বক্সে ঢুকে সাদিকুর দিকে ঠিকানা লেখা ক্রস বাড়ান আশিস। তাতে পা ছুঁইয়ে গোল করেন সাদিকু। এগিয়ে যায় বাগান।
দু’মিনিট পরেই ব্যবধান বাড়াতে পারতেন সাদিকু। তাঁর শট ভাল বাঁচান গোলরক্ষক অ্যালবিনো গোমস। এগিয়ে যাওয়ার পরেও আক্রমণের ঝাঁঝ কমাননি সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা। ফলে গোল শোধ করার থেকে আর গোল না খাওয়ার দিকেই বেশি নজর দিতে হয় শ্রীনিধিকে।
যদিও তার মাঝেই ধাক্কা খায় বাগান। ৮৫ মিনিটের মাথায় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড (লাল কার্ড) দেখে বেরিয়ে যেতে হয় অভিষেককে। ১০ জন হয়ে যায় বাগান। সুযোগ পেয়ে গোল করার চেষ্টা করতে থাকে শীনিধি। কিন্তু বাগান রক্ষণকে ভাঙতে পারেনি তারা। শেষ পর্যন্ত জিতেই মাঠ ছাড়ে মোহনবাগান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy