লোথার ম্যাথাউস।
দিন তিনেক হয়েছে রবার্ট লেয়নডস্কিকে পিছনে ফেলে বালঁ দ্যর পুরস্কার জিতে নিয়েছেন লিয়োনেল মেসি। যা নিয়ে আগেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন লোথার ম্যাথাউস। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জার্মানি থেকে ভিডিয়ো কল-এ ভারতের বাছাই করা কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় দেখা গেল জার্মানির বিশ্বজয়ী প্রাক্তন অধিনায়কের ক্ষোভ এতটুকু কমেনি।
লেয়নডস্কির পুরস্কার না পাওয়ার প্রসঙ্গ উঠতেই কিংবদন্তি জার্মান মিডফিল্ডার বলে উঠলেন, ‘‘যারা মেসিকে বেছে নিয়েছে, তাদের সিদ্ধান্তকে তো সম্মান জানাতেই হবে। মেসিকেও অভিনন্দন জানাচ্ছি। কারণ আমরা ফেয়ার প্লে-তে বিশ্বাস করি। কিন্তু তার পরেও একটা কথা পরিষ্কার বলে দিতে চাই। লেয়নডস্কিকে সেরা না বাছাটা ভুল সিদ্ধান্ত।’’
জার্মানির হয়ে পাঁচ বারের বিশ্বকাপ খেলা ম্যাথাউস নিজে বাঁল দ্যর যেমন জিতেছেন, সে রকমই ফিফার বর্ষসেরাও হয়েছেন। লেয়নডস্কি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সামান্য উত্তেজিত ম্যাথাউস বলতে থাকেন, ‘‘আমাকে ভুল বুঝবেন না। আমি নিজেও মেসির ভক্ত। গত দশ বছরে মেসিকে বিশ্বের সেরা ফুটবলার বলা যেতেই পারে। কিন্তু এই বছরে আমার কাছে সেরা ফুটবলার লেয়নডস্কিই। সেটা ইউরোপের নিরিখে তো বটেই, বিশ্বের নিরিখেও। মেসিকে যারা সেরা বেছেছে, তারা অবশ্য অন্য রকম ভাবতে পারে।’’
বায়ার্ন মিউনিখ এবং পোলান্ডের তারকা লেয়নডস্কি এ বছর কোথায় ছাপিয়ে গিয়েছেন মেসি-রোনাল্ডোদের? ম্যাথাউসের ব্যাখ্যা, ‘‘বুন্দেশলিগা, জার্মান কাপ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লেয়নডস্কি কত গোল করেছে, সেটা সবার জানা। কিন্তু শুধু এই পরিসংখ্যান দিয়ে ওর শ্রেষ্ঠত্বকে বিচার করা ঠিক হবে না। দেখতে হবে, দলের জন্য ও নিজেকে কী ভাবে উজাড় করে দেয়। কী ভাবে মাঠের এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে দৌড়ে যায়। এই আক্রমণে, তো এই ডিফেন্সে। দলের এক জন আদর্শ নেতা।’’ ম্যাথাউসের আশা, ‘‘পরের বছর ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কার ঠিক পাবে লেয়নডস্কি। আমার কাছে ও এই মুহূর্তে বিশ্বের এক
নম্বর ফুটবলার।’’
শনিবার রাতে আবার লেয়নডস্কিকে দেখা যাবে ফুটবল পায়ে। যখন তিনি বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের ঘরের মাঠে নামবেন বায়ার্নের জার্সি গায়ে। আপাতত খেতাবের দৌড়ে মাত্র এক পয়েন্টে এগিয়ে আছে বায়ার্ন। কিন্তু বায়ার্নের একচেটিয়া আধিপত্য কি জার্মান লিগের আকর্ষণটা কিছুটা নষ্ট করে দিচ্ছে না? ম্যাথাউসের জবাব, ‘‘অন্যান্য দেশেও কিন্তু অবস্থাটা প্রায় একই রকম। ইটালি বা স্পেনেও প্রায়শই দুটো দলের মধ্যে লড়াই হয়। মানছি, বুন্দেশলিগা জেতার ব্যাপারে বায়ার্ন অনেকটাই এগিয়ে আছে। কিন্তু বাকিদের মধ্যে যথেষ্ট লড়াই হয়।’’
যে লড়াইটা শনিবারের বায়ার্ন বনাম বরুসিয়ার ‘জার্মান ক্লাসিকো’য় দেখার আশায় রয়েছেন প্রাক্তন বায়ার্ন মিউনিখ মিডফিল্ডার। ম্যাথাউস বললেন, ‘‘এ বারে কিন্তু বায়ার্নের হাত থেকে লিগ খেতাব কেড়ে নিতে পারে বরুসিয়া। ওরা মাত্র একটা পয়েন্টে পিছিয়ে আছে বায়ার্নের থেকে। এই ম্যাচটা জিতলে দু’পয়েন্টে এগিয়ে যাবে। এই বছরে কিন্তু লিগের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত লড়াই হতে পারে।’’
নিজে জার্মানির অন্যতম সেরা ফুটবলার। কিন্তু তাঁর মতে বিশ্ব ফুটবলের সর্বশ্রেষ্ঠর মুকুট কার মাথায় ওঠা উচিত? শুনেই উত্তেজিত হয়ে হাত নাড়তে শুরু করে দিলেন ম্যাথাউস— ‘‘এই ভাবে বলা কঠিন। এই প্রজন্মে মেসি আছে, আমাদের সময় মারাদোনা ছিল। তার আগে পেলে, ইউসেবিও, পুসকাস। কত নাম করব।’’ কিন্তু তার পরেও যদি এক জনকে বেছে নিতে হয়, তা হলে কার নাম করবেন? সামান্য ভেবে ম্যাথাউসের জবাব, ‘‘এক জনকে বাছতে হলে আমি পেলেকেই বাছব।’’
বুন্দেশলিগা: বায়ার্ন মিউনিখ বনাম বরুসিয়া ডর্টমুন্ড (শনিবার, সোনি টেন টু চ্যানেলে রাত ১১.০০)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy