যুবভারতীর বাইরে বিক্ষোভ চালাচ্ছেন তিন প্রধানের সমর্থকেরা। ছবি: শান্তনু ঘোষ।
অবশেষে চার ঘণ্টা পর সচল হল বাইপাস। শুরু হয়েছে গাড়ি চলাচল।
সাড়ে তিন ঘণ্টা রাস্তা অবরুদ্ধ থাকার পরে ধীরে ধীরে গাড়ি চলাচল শুরু হয়েছে। পাশাপাশি বিক্ষোভও চলছে।
এখনও প্রতিবাদ চলছে। বৃষ্টি তা দমাতে পারেনি। মাঝে বেশ কিছু ক্ষণ রাস্তায় বসে পড়েছিলেন সমর্থকেরা। আবার মিছিল শুরু করেছেন তাঁরা। ভিড় আরও বাড়ছে। পুলিশ এখন এক দিকে অপেক্ষা করছে। বেশ কিছু ক্ষণ কোনও পদক্ষেপ করতে দেখা যায়নি তাদের।
কলকাতার রাজপথে বিক্ষোভকারীরা জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছেন। একসঙ্গে এই আন্দোলনে থাকার বার্তা দিয়েছেন তাঁরা।
বিক্ষোভকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন মোহনবাগানের অধিনায়ক শুভাশিস বসু। সস্ত্রীক তিনি যুবভারতীর সামনে গিয়েছেন। প্রতিবাদীদের সঙ্গে কথা বলছেন শুভাশিস।
বিক্ষোভের মাঝেই গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে পুলিশ। সায়েন্স সিটির দিক থেকে আসা গাড়ি চিংড়িঘাটা থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। উল্টোডাঙার দিক থেকে আসা গাড়ি হাডকো ও বেঙ্গল কেমিক্যাল থেকে ঘুরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ।
বেলেঘাটা মোড়ে আবার প্রতিবাদীদের আটকে দিল পুলিশ। সেখানেই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান উঠছে। এখনও গোটা বাইপাস অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে।
যুবভারতীর ভিআইপি গেটের ঠিক বাইরে আবার শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। জড়ো হচ্ছেন দু’দলের সমর্থকেরা। প্রস্তুত রয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনীও।
অনেক চেষ্টা করেও মিছিল সরাতে পারেনি পুলিশ। আবার বেঙ্গল কেমিক্যালের দিক থেকে যুবভারতীর দিকে মিছিল শুরু হয়েছে। রয়েছেন তিন প্রধানের সমর্থকেরা।
দুই প্রধানের বেশ কিছু সমর্থককে আটক করেছিল পুলিশ। একটি গাড়ি বেরিয়ে গেলেও অপর গাড়িটি বার হতে পারেনি। পুলিশের গাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান দু’দলের সমর্থকেরা। শেষ পর্যন্ত আটক সমর্থকদের ছাড়িয়ে নিল বিক্ষোভকারীরা।
উল্টোডাঙার মোড়, কৈখালির মোড়, রুবির মোড়ে অনেক বিক্ষোভকারীকে আটকে দিয়েছে পুলিশ। সেখানেও প্রতিবাদ শুরু হয়েছে।
ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার সভাপতি কল্যাণ চৌবে। তিনি গিয়ে প্রতিবাদী ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলছেন।
মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকদের অভিযোগ, পুলিশের লাঠির ঘায়ে অনেকে আহত হয়েছেন। এমনকি, মহিলা সমর্থকদের উপরেও পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দু’দলের অনেক সমর্থককে গাড়িতে তুলেছে পুলিশ।
পুলিশের তাড়া খেয়ে রাস্তা থেকে অনেক বিক্ষোভকারী ফুটপাথে উঠে পড়েছিলেন। তাঁদের সেখান থেকেও সরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বেঙ্গল কেমিক্যালের দিকে।
প্রতিবাদীদের উপর লাঠিচার্জ শুরু করেছে পুলিশ। সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে প্রতিবাদীদের। অনেককে আটক করে গাড়িতে তোলা হচ্ছে। পুলিশের সঙ্গে ঘটনাস্থলে রয়েছে র্যাফও। যদিও এখনও জমায়েত সরানো যায়নি। ‘পুলিশ হায় হায়’ স্লোগান তুলছেন তাঁরা।
ইস্টবেঙ্গল সমর্থক ঊষসী চক্রবর্তী ও মোহনবাগান সমর্থক সৌরভ পালোধী একসঙ্গে প্রতিবাদ করছেন। সৌরভ বলেন, “ভারতীয় ফুটবলকে আঘাত করলে প্রতিবাদ তো হবেই।”
মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের এই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছে মহমেডান স্পোর্টিংও। তারাও দুই প্রধানের এই বিক্ষোভকে সমর্থন করছে।
সমর্থকের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনই বাড়ছে পুলিশের সংখ্যাও। বিক্ষোভকারীদের আরও সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে তারা। বেঙ্গল কেমিক্যালের দিকে সরানোর চেষ্টা হচ্ছে। কিছু প্রতিবাদী সরলেও বাকিরা সরতে চাইছেন না । তা নিয়ে কিছুটা হলেও গণ্ডগোল চলছে।
যুবভারতীর বাইরে দুই দলের সমর্থকদের হাতেই রয়েছে নিজেদের ক্লাবের পতাকা। সেখানে যাওয়ার পরে ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকেরা মোহনবাগানের ও মোহনবাগানের সমর্থকেরা ইস্টবেঙ্গলের পতাকা নিয়ে প্রতিবাদ করছেন।
মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকেরা প্রশ্ন তুলছেন, যদি নিরাপত্তার দাবি তুলে ডার্বি বাতিল করা হয়, তা হলে প্রতিবাদ আটকাতে এত পুলিশ মোতায়েন করা হল কেন? এর থেকে কম পুলিশে তো ডার্বি হয়ে যেত, বলছেন সমর্থকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy