আর্জেন্টিনার ৩৬ বছরের ট্রফি খরা কাটিয়েছেন লিয়োনেল মেসি। তাঁর নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা। —ফাইল চিত্র
বিশ্বকাপ জেতার পরে বিতর্কে জড়াননি তিনি। কিন্তু এ বার দেশের মাটিতে সতীর্থদের সঙ্গে উল্লাস করতে গিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন লিয়োনেল মেসি। ফ্রান্সকে খোঁচা দিয়েছেন তাঁরা। এই কাণ্ড করে নিজের ক্লাব প্যারিস সঁ জরমঁর সতীর্থদের কি রাগিয়েই দিলেন লিয়ো?
বুয়েনোস আইরেসে পানামার বিরুদ্ধে প্রদর্শনী ম্যাচে ২-০ জিতেছে আর্জেন্টিনা। গোল করেন লিয়োনেল মেসি এবং থিয়াগো আলমাদা। ম্যাচ শেষে বিশ্বকাপ ফাইনালে পরাজিত দেশ ফ্রান্সকে কটাক্ষ করা হয়েছে একটি গানের মাধ্যমে। সেই গানে যোগ দিয়েছেন মেসিও। দলের বাকি ফুটবলারদের সঙ্গে গান করেছেন তিনি। গানের কথায় ছিল, ‘ফ্রান্সের জন্য এক মিনিটের নীরবতা পালন করো। ওরা মারা গিয়েছে।’ সেই গানে পড়শি দেশ ব্রাজিলকেও কটাক্ষ করা হয়েছে।
এই গানের ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে শিরোনামে মেসি। তিনি কেন সতীর্থদের সঙ্গে গানে গলা মেলালেন সেই প্রশ্ন করেছেন অনেকে। কারণ, ফাইনাল জেতার পরে এমিলিয়ানো মার্তিনেসের করা অশালীন আচরণের পরে মেসি জানিয়েছিলেন, তাঁরা নিষেধ করেছিলেন মার্তিনেসকে। দলের গোলরক্ষক তাঁদের কথা শোনেননি। সেই মেসিই এ বার জড়ালেন বিতর্কে।
মেসির সঙ্গে পিএসজির সম্পর্ক খুব একটা ভাল নয়। ক্লাবের নতুন চুক্তিতে এখনও সই করেননি মেসি। এর মধ্যেই শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন ক্লাবের সঙ্গে কথা বলছেন মেসির বাবা তথা এজেন্ট জর্জে। সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল ও মেজর সকার লিগের ক্লাব ইন্টার মায়ামি তাঁকে নিতে আগ্রহ দেখিয়েছে। তবে কি এ বার পিএসজি ছাড়ার কথা মনস্থির করে নিয়েছেন মেসি। নইলে কেন তিনি এমন উল্লাস করবেন যাতে তাঁক ক্লাবের অনেক সতীর্থ রেগে যান?
সেখানেই শেষ নয়, দেশের মাটিতে উল্লাসের সময় মার্তিনেসের সেই অশালীন ভঙ্গি আরও এক বার ফিরে এসেছে। এ বার তাঁর সঙ্গে বাকি ফুটবলাররাও যোগ দিয়েছেন। পানামাকে হারানোর পরে সব ফুটবলারই তাঁদের পরিবারকে মাঠে ডেকে নেন। প্রত্যেকে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়েছিলেন মাঠে। প্রত্যেকের সামনেই রাখা ছিল বিশ্বকাপের রেপ্লিকা।
সেই বিশ্বকাপ হাতে নিয়ে তা যৌনাঙ্গের সামনে ধরে একই রকম অঙ্গভঙ্গি করতে দেখা যায় মার্তিনেসকে। তবে এ বার তিনি একা ছিলেন না। গুইদো রদ্রিগেস, জেরোনিমো রুলি, জারমান পেজেয়া, মার্কোস আকুনার মতো ফুটবলারদের দেখা যায় মার্তিনেসের সঙ্গে যোগ দিতে। যদিও মেসি সেই উচ্ছ্বাসে যোগ দেননি। তিনি ট্রফি নিয়ে এক পাশে পরিবারের সঙ্গে দাঁড়িয়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy