লিয়োনেল মেসি। —ফাইল চিত্র।
চাকরির থেকে লিয়োনেল মেসির সইয়ের মূল্য বেশি। তাই মেসির সই চাইতে গিয়ে চাকরি হারিয়েও দুঃখ নেই ক্রিস্টিয়ান সালামানকার। প্রথম বারের চেষ্টাতেই মেসির সই সংগ্রহ করতে পেরেছেন ইন্টার মায়ামির স্টেডিয়ামের এই সাফাই কর্মী।
ক্রিস্টিয়ান একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। সেই সংস্থা ইন্টার মায়ামির স্টেডিয়াম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার কাজ করে। সেই সুবাদেই তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছে মেসির। আর্জেন্টিনার অধিনায়কের সই নিয়েছেন তিনি। সেই ‘অপরাধে’ চাকরি হারাতে হয়েছে তাঁকে। তাতে কোনও আক্ষেপ নেই তাঁর। মেসির সই পেয়ে চাকরি হারানোর দুঃখ ভুলে গিয়েছেন তিনি।
কী হয়েছিল? ক্রিস্টিন বলেছেন, ‘‘স্টেডিয়ামের বাইরে যেখানে দলের বাস থাকে সেখানকার শৌচালয় পরিষ্কার করতে যাচ্ছিলাম। সেখানে যাওয়ার সময় দেখি স্টেডিয়ামে ঢুকছে ফুটবলারদের বাস। এক এক করে সব ফুটবলার নেমে এলেন। সবার শেষে বাস থেকে নামলেন মেসি। কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে ফুটবলারদের দেখছিলাম। মেসিকে দেখে ‘বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন’ বলে চেঁচিয়ে উঠেছিলাম আনন্দে। মেসি ফিরে আমার দিকে তাকান। তখন একটা সইয়ের জন্য অনুরোধ করেছিলাম। মেসি সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে যান। আমি ইউনিফর্মের নীচে আর্জেন্টিনার জার্সি পরে গিয়েছিলাম। উপরের জামা তুলে মেসিকে আর্জেন্টিনার জার্সিতে সই করে দেওয়ার অনুরোধ করি।’’
শুধু এই জন্য চাকরি চলে গেল? আদতে কলম্বিয়ার বাসিন্দা ক্রিস্টিন বলেছেন, ‘‘সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন নিরাপত্তা কর্মীরা। মেসিকে সরিয়ে নিয়ে যান তাঁরা। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে আমাকে তখনই কাজ থেকে বরখাস্ত করা হয়। চাকরি যাওয়ায় আমার কোনও আক্ষেপ নেই। মেসির সই এই চাকরির থেকে অনেক বেশি দামী আমার কাছে।’’
ক্রিস্টিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। ইন্টার মায়ামির সব কর্মী এবং চুক্তিভিত্তিক কর্মীর জন্য পেশাদার আচরণ বাধ্যতামূলক। ফুটবলারদের কাছে ছবি তোলার বা সইয়ের অনুরোধ করতে পারেন না তাঁরা। ক্লাব কর্তৃপক্ষ চান না কোনও কর্মীর জন্য কখনও কোনও ফুটবলার বিরক্ত হন। এক মাত্র কাজের প্রয়োজনেই কর্মীরা ফুটবলারদের কাছে যেতে পারেন। ক্রিস্টিনের বিরুদ্ধে এই নিয়ম ভাঙার অভিযোগ উঠেছে। তাই তাঁকে কাজ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
ক্রিস্টিনের চাকরি যাওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি সংস্থাটি। ক্রিস্টিনকে বরখাস্ত করার খবর মেসি শুনেছেন কিনা জানা যায়নি। তা নিয়ে চাকরি হারানো সাফাই কর্মীর কোনও মাথাব্যথা নেই। তিনি মেসির সই পেয়েই আপ্লুত। চাকরির প্রসঙ্গে তিনি পরোয়াহীন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy