কলকাতার দুই ফুটবল ক্লাবের উপর নজর সেনার। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
কলকাতা ময়দানের ফুটবল পরিবেশ দেখে চটেছে সেনা। বিশেষ করে তারা রুষ্ট দুই বড় ক্লাব ইস্টবেঙ্গল এবং এটিকে মোহনবাগানের উপর। জানা গিয়েছে, এই নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হবে। রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীর দফতরে সেই বৈঠকে ইস্টবেঙ্গল এবং এটিকে মোহনবাগান ছাড়াও মহমেডান স্পোর্টিংকেও ডাকা হয়েছে। সেনাবাহিনী, পিডব্লিউডি এবং ক্রীড়া দফতরের আধিকারিকরাও অরূপ বিশ্বাসের দফতর ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। সেনার বক্তব্য, খেলাধুলোর উন্নতির জন্য কলকাতা ময়দানকে তারা বিভিন্ন ক্লাবের কাছে লিজ দিয়েছে। কিন্তু উন্নতি তো দূরের কথা, খেলাই সে ভাবে হচ্ছে না। গত বছর সেনাবাহিনী আয়োজিত ডুরান্ড কাপে ইস্টবেঙ্গল এবং এটিকে মোহনবাগান খেলেনি। এটা ভাল ভাবে নেয়নি সেনা। ভারতের প্রাচীনতম এবং পৃথিবীর দ্বিতীয় প্রাচীনতম প্রতিযোগিতায় দুই বড় ক্লাব না খেলায় সেনাবাহিনী অত্যন্ত বিরক্ত। তাদের আশঙ্কা, এই বছরও হয়তো খেলবে না এই দুই ক্লাব। এই বছর অগস্ট-সেপ্টেম্বরে ডুরান্ড কাপ হওয়ার কথা।
গত বছর ডুরান্ড কাপে ১৬টি ক্লাব খেলেছিল। এর মধ্যে আইএসএলে খেলা বেঙ্গালুরু এফসি, এফসি গোয়া, হায়দরাবাদ এফসি, জামশেদপুর এফসি, কেরালা ব্লাস্টার্স ছিল। সেনাবাহিনীর বক্তব্য, ভিন রাজ্যের প্রথম সারির এতগুলি দল খেলতে পারলে কলকাতার দুটি বড় দল কেন খেলতে পারবে না? মহমেডান অবশ্য ডুরান্ডে খেলেছিল। তাদেরও বৈঠকে ডাকা হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, আইএফএ কর্তৃপক্ষও সমান ভাবে আতঙ্কিত কলকাতা লিগে দুই বড় ক্লাবের খেলা নিয়ে। তারাও বৈঠকে এই বিষয়টি তুলবে বলে জানা গিয়েছে। গত বছর কলকাতা লিগেও খেলেনি ইস্টবেঙ্গল এবং এটিকে মোহনবাগান। বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের নানা বিষয় নিয়ে ঝামেলা চলছিল। সেই কারণে তারা খেলতে পারেনি। এএফসি কাপে খেলা ছিল এটিকে মোহনবাগানের। সেই জন্য তাদের পক্ষে লিগে খেলা সম্ভব হয়নি। মনে করা হচ্ছে, ক্রীড়ামন্ত্রীর উপস্থিতিতে ওই সভায় সেনা এরকম প্রস্তাব দিতে পারে যে, জাতীয় বা আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগিতার জন্য আলাদা দল রেখে ডুরান্ডের মতো প্রতিযোগিতায় খেলার জন্য আলাদা দল তৈরি করুক ক্লাবগুলি।
কেন ইস্টবেঙ্গলকে বার বার বিনিয়োগকারীদের নিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে, কেন শেষ মুহূর্তে দল তৈরি করতে নামতে হচ্ছে লাল-হলুদকে, এসব নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, সম্ভবত আগামী সোমবার এই বৈঠক হবে।
এখন দেখার, সেনার হাত ধরে সমস্যার সমাধান মেল কি না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy