সোমবার লিগের শেষ ম্যাচে এটিকে মোহনবাগানকে খেলতে হবে জামশেদপুর এফসি-র বিরুদ্ধে। তাদের সঙ্গেই শীর্ষে থাকার লড়াই। এটিকে মোহনবাগানের ১৯ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট। এক ম্যাচ কম খেলে জামশেদপুরেরও ৩৭ পয়েন্ট।
এটিকে মোহনবাগান ফুটবলারদের উল্লাস। ফাইল চিত্র
তিনি যখন দায়িত্ব নিয়েছেন দল ছিল সাত নম্বরে। সেখান থেকে এটিকে মোহনবাগান এখন আইএসএল-এর সেমিফাইনালে। এ বার পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে থাকার লড়াই। কঠিন সময়ে তাঁর দলের লড়াই করার মানসিকতায় মুগ্ধ এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো।
বৃহস্পতিবার ফতোরদায় চেন্নাইয়িন এফসি-কে ১-০ ব্যবধানে হারানোর পরে ফেরান্দো বলেন, ‘‘আমি খুশি, তবে এটা শুধু আমার একার জন্য সম্ভব হয়নি। ক্লাবের মালিকরা আমাদের উপর আস্থা রেখেছেন। ফুটবলাররাও অসাধারণ খেলেছে। বলতে হবে দলের বাকি কোচিং স্টাফদের কথা। ওঁরাও যথেষ্ট দক্ষ। দলের প্রত্যেকে রোজই তাদের সেরাটা দিয়েছে। এ সবেরই ফল এটা।’’
আলাদা করে খুশি রয় কৃষ্ণর জন্য। গোলে ফিরেছেন কৃষ্ণ। ফেরান্দো বলেন, ‘‘রয়ের জন্য আমি খুবই খুশি। ও আর ওর পরিবার খুব কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। দীর্ঘ দিন নিভৃতবাসে থাকতে হয়েছে। ওর বাচ্চার কথাও সবাই শুনেছেন। সব মিলিয়ে দুঃসময় কাটিয়ে এসেছে ও। আশা করি কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইটা আমরা প্রায় শেষ করে এনেছি। হয়ত আর দিন কুড়ি পরে জৈব সুরক্ষা বলয় থেকে বেরোতে পারব, স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারব।’’
দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় অবশ্য খুশি হতে পারছেন না মোহন-কোচ। খেলার বিশ্লেষণে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘বল পজেশন, আক্রমণ, জায়গা তৈরি করার ক্ষেত্রে আমরা প্রথমার্ধে অনেক এগিয়ে ছিলাম। অনেক সুযোগ পেয়েছিলাম। হয়তো ২-০ হতে পারত। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে দল খুবই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা সেরাটা দিতে পারিনি। দল তরতাজা ছিল না। ভাল সুযোগও তৈরি করতে পারিনি। অনেক ভুল পাস খেলেছি। ওঠা-নামাও প্রথমার্ধের মতো ভাল হয়নি। প্রথমার্ধের খেলায় আমি খুশি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ক্লান্তির জন্য সাধারণ ফুটবল খেলেছি আমরা। আমাদের উপর যথেষ্ট চাপ ছিল। কারণ, প্লে অফে যাওয়ার জন্য তিন পয়েন্ট পেতেই হত। চেন্নাইয়িনের ক্ষেত্রে সেই চাপটা ছিল না। ওরা ম্যাচটা উপভোগ করতে নেমেছিল। তবে আমার দলের খেলোয়াড়রা যে রোজ নিজেদের উজাড় করে দিচ্ছে, সে জন্য আমি খুশি।’’
চিন্তা রয়েছে সন্দেশ জিঙ্ঘনকে নিয়ে। তিনি চোট নিয়ে খেলেছেন। সোমবার লিগের শেষ ম্যাচে খেলতে হবে জামশেদপুর এফসি-র বিরুদ্ধে। তাদের সঙ্গেই শীর্ষে থাকার লড়াই। এটিকে মোহনবাগানের ১৯ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট। এক ম্যাচ কম খেলে জামশেদপুরেরও ৩৭ পয়েন্ট। সন্দেশকে লিগের শেষ ম্যাচে পাওয়া যাবে কি না জানতে চাইলে ফেরান্দো বলেন, ‘‘আশা করি খেলতে পারবে। শুধু ওর একারই সমস্যা আছে, তা নয়। জনি কাউকোর পেশী শক্ত হয়ে গিয়েছিল। দেখতে হবে কী কী সমস্যা রয়েছে দলে। তার জন্য সময় দরকার।’’
শুক্রবার জামশেদপুর খেলবে ওড়িশার বিরুদ্ধে। ফেরান্দো আশাবাদী জামশেদপুরের থেকে পয়েন্ট কেড়ে নেবে ওড়িশা। বলেন, ‘‘আশা করব ওড়িশা আমাদের সাহায্য করবে। জামশেদপুরের এই মরশুমটা খুব ভাল যাচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে থাকা। তা যদি না-ও হয়, সেটা মেনে নিতেই হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy