সবুজ-মেরুনের ভরসা দিমিত্রি পেত্রাতোস। ছবি: টুইটার
হায়দরাবাদ এফসি-র ঘরের মাঠে গিয়ে ড্র। কিন্তু দলের খেলায় সন্তুষ্ট নন এটিকে মোহনবাগানের কোচ জুয়ান ফেরান্দো। দলের চোট-আঘাত সমস্যা নিয়েও চিন্তা রয়েছে তাঁর। সোমবার ফিরতি সেমিফাইনালে ঘরের মাঠে খেলবে মোহনবাগান। প্রস্তুতির জন্য হাতে রয়েছে মাত্র দু’দিন। এই দু’দিনে দলকে প্রস্তুত করা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন স্প্যানিশ কোচ।
সোমবার (১৩ মার্চ) ঘরের মাঠে সেমিফাইনালের লড়াইকেই আপাতত ফাইনাল হিসাবে নিচ্ছেন এটিকে মোহনবাগান কোচ। তিনি বলেন, “পরের ম্যাচটা আমাদের কাছে ফাইনালের মতো। ম্যাচ গোলশূন্য থাকলে তা অতিরিক্ত সময়ে গড়াবে। তাই আমাদের আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে হবে এবং জিততে হবে। দু’পক্ষই ফাইনালে উঠতে মরিয়া। আমাদের আক্রমণাত্মক ফুটবলই খেলতে হবে।”
বৃহস্পতিবার জিএমসি বালাযোগী স্টেডিয়ামে কোনও দল গোল করতে না পারলেও ম্যাচের সবচেয়ে সহজ দু’টি গোলের সুযোগ পায় এটিকে মোহনবাগানই। প্রীতম কোটাল ও মনবীর সিংহ এই দু’টি গোল করতে পারলে জয়ের হাসিমুখে নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারতেন তাঁরা। গত মরসুমে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে যে ভুল করে মোহনবাগান হেরেছিল, এ বার আর সেগুলো করেনি তারা। ফলে ঘরের মাঠে ফিরতি সেমিফাইনালে মানসিক ভাবে এগিয়ে থেকেই মাঠে নামতে পারবে সবুজ-মেরুন।
গোলশূন্য ড্রয়ের পর ফেরান্দো বলেন, “ড্র করে আমরা হতাশ। ম্যাচটা জিততেই এসেছিলাম। তবে কাজটা বেশ কঠিন ছিল। হায়দরাবাদ ভাল দল। ওদের কয়েক জন ভাল ভাল ফুটবলার আছে। সেই জন্যই ওরা লিগে দ্বিতীয় স্থানে ছিল। ওরা গত বারের চ্যাম্পিয়নও। এখন আমাদের পরের ম্যাচের প্রস্তুতি নিতে হবে। হাতে দু’দিনের বেশি সময় নেই। হায়দরাবাদ খুবই ভাল দল, এ কথা মাথায় রেখে আমাদের পরের ম্যাচের জন্য তৈরি হতে হবে। ওদের বিরুদ্ধে সুযোগ তৈরি করা, জায়গা তৈরি করা খুবই কঠিন। ওরা আসলে তিন বছর ধরে একই পরিকল্পনা নিয়ে খেলে আসছে।”
প্রথম লেগে দুই দলই অল্প কয়েকটি গোলের সুযোগ পেয়েছিল। ফেরান্দো বলেন, “প্রথমার্ধে হায়দরাবাদ দুটো ভাল সুযোগ পেয়েছিল। আমরা পেয়েছিলাম একটা। দ্বিতীয়ার্ধে ওরা একটা ভাল সুযোগ পায়, আমরা দু-তিনটে পেয়েছিলাম। দুই দলই প্রায় একই রকম ভাল খেলে। আমরা হতাশ। দু-তিনটে ভাল সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারলাম না।”
ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগে কী পরিকল্পনা নিয়ে খেলবেন তা ঠিক করে ফেলেছেন সবুজ-মেরুন কোচ। তিনি বলেন, “দ্বিতীয় লেগেও একই পরিকল্পনা থাকবে। আমরা পরিকল্পনা বদলাই না। সব সময়ই আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করি, পায়ে বল রাখার চেষ্টা করি, জায়গা তৈরি করা ও তা কাজে লাগানোর চেষ্টা করি। প্রতিপক্ষ আজ আমাদের চেয়ে বল দখলে এগিয়ে ছিল। রক্ষণে আরও উন্নতি করতে হবে আমাদের। কিছু খুঁটিনাটি ব্যাপারে পরিবর্তন দরকার ঠিকই। তবে মানসিকতা একই থাকবে।”
আশিক কুরুনিয়ানের চোট রয়েছে। হুগো বুমোসও পুরো ম্যাচ খেলতে পারেননি। তাঁদের নিয়ে ফেরান্দো বলেন, “বুমোস, আশিকদের তিন দিনের মধ্যে আবার সুস্থ ও তরতাজা করে তোলা মোটেই সোজা কাজ নয়। ওরা চেষ্টা করবে সুস্থ হয়ে উঠতে। দেখা যাক কী হয়। সবাইকে উজ্জীবিত করে সেরা দলই মাঠে নামানোর চেষ্টা করব। তবে যাদের চোট লেগেছে, তাদের এই সময়ে না খেলানোই ভাল।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy