ফাইল চিত্র।
চিন্তার নাম বার্তেলোমিউ ওগবেচে!
প্যারিস সাঁ জারমাঁয় রোনাল্ডিনহোদের সতীর্থ। দু’দশক আগে কোরিয়া-জাপান বিশ্বকাপে খেলেছেন। লিগ ওয়ান ছাড়াও লা লিগায় আলাভেস, ভায়াদোলিদের জার্সি গায়েও খেলার অভিজ্ঞতা থাকা এই নাইজিরীয় স্ট্রাইকার চলতি মরসুমে পরিণত হয়েছেন হায়দরাবাদের গোলমেশিনে! ১৭ ম্যাচে ১৭ গোল করে এই মুহূর্তে তিনিই গোলদাতাদের শীর্ষে। শনিবার সেমিফাইনালে তাই এই ওগবেচেকে বোতলবন্দী করাই প্রীতম কোটাল, কার্ল ম্যাকহিউদের মাঝমাঠ ও রক্ষণের কঠিন পরীক্ষা।
ওগবেচে গোটা মাঠ জুড়ে খেলেন। গোল করা ছাড়া নিখুঁত পাস বাড়িয়ে বিপক্ষের গোলের দরজাও খুলে ফেলতে দক্ষ। চলতি বছরের শুরুতে সবুজ-মেরুন রক্ষণ ভেঙে গোলও করে গিয়েছিলেন। যে ম্যাচ শেষ হয় ২-২। এটিকে-মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দোর মাথায় এই মুহূর্তে অনেক চিন্তা। যার মধ্যে রয়েছে রয় কৃষ্ণকে সেমিফাইনালে পাওয়া যাবে কি না? হুগো বুমোস সুস্থ হয়ে মাঠে নামতে পারবেন কি না? বৃহস্পতিবার অনুশীলনের পরে এই দুই চিন্তা কিছুটা কমেছে সবুজ-মেরুন কোচের। কৃষ্ণ ১৬ মার্চের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল পর্যন্ত থাকছেন, তা আপাতত নিশ্চিত। ফাইনালে উঠলে তাঁকে রাখার জন্য চেষ্টা চলছে। অন্য দিকে, হুগো বুমোসও এ দিন খোশমেজাজেই অনুশীলন সেরেছেন। কিন্তু ওগবেচেকে নিয়ে তাঁর চিন্তা যাচ্ছে না।
এ বারের লিগে সব চেয়ে বেশি গোল বাঁচিয়েছেন এটিকে-মোহনবাগানের অমরিন্দর সিংহ (৫৫টি)। যা আভাস দিচ্ছে শুভাশিস বসুদের রক্ষণের পরিস্থিতি সম্পর্কে। এ দিন ফেরান্দো ও সব তথ্য ভুলে দলকে মহড়া দেওয়ালেন ওগবেচেকে রুখতে।
স্পেনীয় কোচ জানেন ওগবেচে বল ধরার পরে চোরাগতিকে কাজে লাগান। রক্ষণ ও গোলকিপারের মাঝে এবং মাঝমাঠ ও রক্ষণের মাঝে তৈরি হওয়া ফাঁকা জায়গা কাজে লাগিয়ে গোল করেন তিনি। এ ছাড়াও দুই প্রান্ত থেকে উড়ে আসা বল ধরেও গোল করতে দক্ষ ওগবেচে। সে কারণেই এ দিন রক্ষণ ও মাঝমাঠকে আলাদা করে নিয়ে অনুশীলন করান ফেরান্দো। যেখানে জনি কাউকো, ডেভিড উইলিয়ামসদের মাঠের মাঝখান দিয়ে আক্রমণ শানাতে বলা হয়েছিল। ওগবেচেকে নিষ্প্রভ করার জন্য ফেরান্দোর প্রথম অঙ্ক হল—হায়দরাবাদ মাঝমাঠ থেকে ওগবেচের পায়ে বল আসা বন্ধ করতে হবে। তার জন্য লেনি রদ্রিগেস, দীপক টাংরি, জনি, কার্ল ম্যাকহিউদের নিয়ে ক্লাস করেছেন কোচ। বলে দেওয়া হয়েছে অমরিন্দরের সঙ্গে চার ব্যাক বা রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডারদের সঙ্গে রক্ষণের দূরত্ব যেন সাত-আট গজের বেশি না হয়। ওগবেচে বল যদি এর পরেও পেয়ে যান, তা হলে সবার আগে ওর সামনে একজন দাঁড়িয়ে গোলমুখ বন্ধ করবেন। আর এক জন ওঁকে প্রান্তের দিকে সরিয়ে নিয়ে যাবেন। এই দায়িত্বও মাঝমাঠের। কোনও মতেই প্রথমে ট্যাকল করা যাবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy