লড়াই: ইরানের রক্ষণে হানা ভারতের। তবু এল না জয়। এআইএফএফ
ইরানকে হারিয়ে এএফসি এশিয়ান কাপে যাত্রা শুরু করার আশা অপূর্ণই থাকল ভারতের মহিলা ফুটবল দলের। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় নবি মুম্বইয়ের ডি ওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে গোলের একাধিক সুযোগ নষ্টের মূল্য দিতে হল আশালতা দেবীদের।
ফিফা ক্রমতালিকায় ভারতের মহিলা ফুটবল দল ৫৫তম স্থানে। ৭০ নম্বরে ইরান। ‘এ’ গ্রুপের এই ম্যাচের আগের চব্বিশ ঘণ্টা আগেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ভারতীয় দলে। তিন ফুটবলার-সহ পাঁচ জন আক্রান্ত হন করোনায়। তা সত্ত্বেও শুরুটা দুর্দান্ত করেছিলেন মনীষা কল্যাণরা। ভারতের আক্রমণের ঝড় থামাতে ইরানের প্রায় পুরো দলই নেমে গিয়েছিল রক্ষণে। তাই সন্ধ্যা রঙ্গনাথন, রতনবালা দেবীদের আধিপত্য থাকলেও গোল হচ্ছিল না। গতির বিরুদ্ধে ১২ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ইরান। পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া সামান্না চাখান্দির বাঁক খাওয়ানো ফ্রি-কিক ক্রসবারে ধাক্কা খায়। চার মিনিটের মধ্যেই ঘুরে দাড়ায় ভারত। ইন্দুমতি কে বল দিয়েছিলেন মনীষাকে। কিন্তু তিনি সতীর্থ পিয়ারিকে না দিয়ে নিজেই গোল করার চেষ্টা করেন। মনীষার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ২৪ মিনিটে ইন্দুমতির শট অল্পের জন্য ক্রসবারের উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। ৩৪ মিনিটে ইরানের পেনাল্টি বক্সের মধ্যে ফাঁকায় বল পেয়েও গোল করতে পারেননি ইন্দুমতি।
দ্বিতীয়ার্ধেও এক ছবি। একাধিক অবধারিত গোল বাঁচান ইরানের গোলরক্ষক জ়োহরেশ কৌদেই। ম্যাচের সহজতম সুযোগ নষ্ট করেন পরিবর্ত হিসেবে নামা ডাংমেই গ্রেস। ৭৬ মিনিটে সঞ্জু যাদব ইরানের পেনাল্টি বক্সে বল ভাসিয়ে দেন। কার্যত বিনা বাধায় হেড করেছিলেন গ্রেস। কিন্তু অবিশ্বাস্য দক্ষতায় গোল লাইন থেকে বল বার করেন জ়োহরেশ। হতাশ হন ভারতের জয় দেখতে স্টেডিয়ামে হাজির ভাইচুং ভুটিয়াও। ‘এ’ গ্রুপের অন্য ম্যাচে চিন বৃহস্পতিবার ৪-০ চূর্ণ করল চিনা তাইপেকে। ভারতের পরের ম্যাচ চিনা তাইপের বিরুদ্ধেই রবিবার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy