ইগর স্তিমাচ। ছবি: সংগৃহীত।
কুয়েতের বিরুদ্ধে ড্র করে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের তৃতীয় রাউন্ডে ওঠার আশা কার্যত শেষ হয়ে গিয়েছে ভারতের কাছে। বিরাট কোনও অঘটন না ঘটলে পরের রাউন্ডে যাওয়া সম্ভব নয়। ম্যাচের পর সেটা মানছেনও ভারতের কোচ ইগর স্তিমাচ। তবু তাঁর মতে, এখনও সব আশা শেষ হয়ে যায়নি। শেষ ম্যাচে আপ্রাণ লড়ার চেষ্টা করবেন তাঁরা।
কুয়েত ম্যাচ ড্র হওয়ার কারণ হিসাবে একাধিক অজুহাতও দিয়েছেন ক্রোয়েশিয়াজাত কোচ। কখনও পাসিংয়ের দুর্বলতা, কখনও শারীরিক সক্ষমতা, আবার কখনও বিপক্ষের সময় নষ্টের কথা টেনেছেন। এত দিন ধরে জাতীয় শিবির করার পরেও কেন পাসিং দক্ষতার উন্নতি হল না তার সদুত্তর দিতে পারেননি স্তিমাচ।
ম্যাচের ফলাফল নিয়ে স্তিমাচ বলেছেন, “আমরা হতাশ। প্রত্যাশামতোই ম্যাচটা খুব কঠিন ছিল। শুরু থেকেই গতি, পাসিং সবেতে কুয়েত এগিয়ে ছিল। আমাদের কিছুটা সময় লেগেছে নিজেদের চাঙ্গা করে তুলতে। তবে আমাদের দলের পাসিং ভাল হয়নি। ম্যাচে এমন মুহূর্ত এসেছিল যেখানে আমরা ওদের চাপে ফেলতে পারতাম। কিন্তু সেটা পারিনি।”
তাঁর সংযোজন, “ওদের দলে এমন অনেকে রয়েছে যাদের শারীরিক শক্তি আমাদের থেকে অনেক বেশি। ওরা সময় নষ্টের আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। ইচ্ছামতো ডাক্তার ডেকেছে। মাঠে চিকিৎসা করিয়েছে। এ ভাবেই ১৭-১৮ মিনিট নষ্ট করেছে। আমাদের দলের সেরা ফুটবলার হয়েছে গুরপ্রীত। সেটা দলের পক্ষে ভাল লক্ষণ নয়।”
কাতার ম্যাচ নিয়ে যেমন আশাবাদী, তেমনই দলকে সতর্কও করে দিয়েছেন স্তিমাচ। বলেছেন, “এর পরের ম্যাচে আমাদের এশিয়ার সেরা দলের বিরুদ্ধে খেলতে হবে। নিঃসন্দেহে কাজটা কঠিন। কিন্তু এখনও আমাদের সামান্যতম আশা বেঁচে রয়েছে। নিজেদের দক্ষতার উপর বিশ্বাস রাখতে হবে আমাদের। নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।”
স্তিমাচ যোগ করেন, “আমাদের কাছে প্রতিটা ম্যাচই কঠিন। অপেক্ষা করতে হবে নিজেদের সময়ের জন্য। ফিনিশিংয়ের ক্ষেত্রে আমাদের নিখুঁত হতে হবে। তেমনই রক্ষণেও জোর দিতে হবে। আজকের ম্যাচে যে ভাবে ওরা মাঝে মাঝে আমাদের রক্ষণ ভেঙে দিয়েছে সেটা কাতার ম্যাচে হলে কোনও সুযোগই থাকবে না। ওই ম্যাচে কোনও রকম ভুল করলে চলবে না।”
এই ম্যাচের পরেই অবসর নিয়েছেন সুনীল ছেত্রী। তাঁকে কাতার ম্যাচে পাওয়া যাবে না। কুয়েত ম্যাচের আগে পরিবেশ সুনীলময় হয়ে গিয়েছিল বলেই কি দলের ছন্দে ব্যাঘাত ঘটেছে। স্তিমাচ বলেছেন, “ম্যাচের আগে কেউ সুনীলের শেষ ম্যাচ এটা ভেবে খেলতে নামেনি। সুনীল নিজে সবচেয়ে বেশি এই ম্যাচটা জিততে চেয়েছিল। দলের প্রত্যেকটা ফুটবলার, কর্মী এই ম্যাচ জিততে চেয়েছিল। ম্যাচের উপর মনঃসংযোগ ছিল পুরোপুরি। তবু অনেক কিছুই হয়ে যায় যে গুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। এখন আমাদের পরের ম্যাচের উপর মনঃসংযোগ করতে হবে। সবচেয়ে কঠিন ম্যাচ হতে চলেছে সেটা।”
স্তিমাচের ইঙ্গিত, পরের ম্যাচে অনেক তরুণ ফুটবলারকে প্রথম একাদশে দেখা যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy