হতাশ: সংক্রমণের ধাক্কায় বিপর্যস্ত ভারতীয় দল। টুইটার
করোনার থাবায় ২০২৩ মহিলা বিশ্বকাপ ফুটবলে খেলার স্বপ্ন শেষ ভারতীয় দলের। ১২ জন ফুটবলার আক্রান্ত হওয়ায় রবিবার এএফসি এশিয়ান কাপে চিনা তাইপের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে দলই নামাতে পারল না ভারত। ছিটকে গেল
প্রতিযোগিতা থেকেই।
ইরানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচের আগেই ভারতীয় দলের বেশ কয়েক জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও খেলেছিলেন আশালতা দেবীরা। গোলশূন্য ড্র হয়েছিল সেই ম্যাচ। ‘এ’ গ্রুপ থেকে শেষ আটে যোগ্যতা অর্জন করার জন্য রবিবার চিনা তাইপের বিরুদ্ধে যে কোনও মূল্যে জিততেই হত ভারতকে। কিন্তু মরণ-বাঁচন এই ম্যাচের আগে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। এমনিতেই দুই ফুটবলার চোটের কারণে খেলার মতো অবস্থায় নেই। তার উপরে ১২ জন ফুটবলারের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ আসে। আশঙ্কা করা হচ্ছে বাকি ফুটবলাররাও আক্রান্ত হয়েছেন। কারণ প্রত্যেকের শরীরেই করোনার উপসর্গ অর্থাৎ জ্বর, মাথা ব্যথা, সর্দি রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দল গড়ার জন্য ন্যূনতম ১৩ জন ফুটবলারও পাননি কোচ থোমাস দেনার্বি। সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ এএফসি-র তরফে বিবৃতি দেওয়া হয়, ‘‘করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ভারত ন্যূনতম ১৩ জনের দলও গড়তে পারেনি ‘এ’ গ্রুপে চিনা তাইপের বিরুদ্ধে ম্যাচের জন্য। তবে এএফসি এশিয়ান কাপ নির্ধারিত সূচি অনুযায়ীই চলবে।’’ প্রতিযোগিতার নিয়ম (৪.১ ধারা) অনুযায়ী কোনও দেশ যদি ম্যাচে দল নামাতে না পারে, সেক্ষেত্রে ধরা হবে তারা নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তবে ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে বাতিল হয়ে যাওয়া ম্যাচ নতুন সূচি অনুযায়ী হতে পারে।
কোভিডের কারণে ম্যাঞ্চেস্টারে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ভারত বনাম ইংল্যান্ড টেস্ট স্থগিত হয়ে গেলেও ২০২২ সালে তা হওয়ার কথা। সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম আয়ারল্যান্ড দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচও স্থগিত হয়েছে। আইএসএলে স্থগিত হয়ে যাওয়া এটিকে-মোহনবাগান বনাম ওড়িশা ম্যাচ নতুন সূচি অনুযায়ী রবিবারই হয়েছে। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন কেন ভারত বনাম চিনা তাইপে ম্যাচের নতুন সূচি নির্ধারণের জন্য এএফসির কাছে দাবি জানাচ্ছে না? এআইএফএফ কর্তারা বলছেন, ‘‘এই মুহূর্তে দলের যা পরিস্থিতি, তাতে নতুন সূচি অনুযায়ী ম্যাচ খেলাও অসম্ভব।’’
জৈব সুরক্ষা বলয় ভেদ করে কী ভাবে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ল? ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল পটেলের কথায়, ‘‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। কোনও জৈব সুরক্ষা বলয়-ই একশো শতাংশ নিরাপদ নয়।’’ সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্ত বললেন, ‘‘এএফসির কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে যে হোটেলে রয়েছে ভারতীয় দল, সেখান অন্য কোনও প্রতিযোগী দেশ ছিল না। আমাদের আশঙ্কা, হোটেলের কর্মীদের থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy