ভারত-মরিশাস ম্যাচে বল দখলের লড়াই। ছবি: এআইএফএফ।
আন্তঃমহাদেশীয় কাপের শুরুটা প্রত্যাশা মতো করতে পারল না ভারতীয় ফুটবল দল। নতুন কোচ মানোলো মার্কেজ় জমানার শুরু হল হোঁচট খেয়ে। ফিফা ক্রমতালিকায় ১৭৯ নম্বরে থাকা মরিশাসকেও ঘরের মাঠে হারাতে পারল না ১২৪ নম্বরে থাকা ভারত। গোল করতে পারল না কোনও দলই। খেলা দেখতে আশা হায়দরাবাদের ফুটবলপ্রেমীরা স্টেডিয়াম ছাড়লেন হতাশা সঙ্গী করে।
গোটা ম্যাচে পরিকল্পনাহীন ফুটবল খেলল ভারতীয় দল। রক্ষণ, মাঝমাঠ বা আক্রমণ— কোনও বিভাগেই আধিপত্য দেখাতে পারলেন না মনবীর সিংহ, রাহুল বেকে, অনিরুদ্ধ থাপারা। ম্যাচের আগের দিন কোচ মানোলোর কথায় প্রস্তুতির অভাবের কথা শোনা গিয়েছিল। ভারতীয় দলের খেলায় বোঝাপড়ার অভাবও ছিল স্পষ্ট। মরিশাস দল হিসাবে তেমন শক্তিশালী নয়। আক্রমণের ধার ছিল না তাদেরও। তবু ভারতীয় রক্ষণে একাধিক ফাঁক তৈরি হল। বিক্ষিপ্ত ভাবে দু’দলই আক্রমণ তৈরির চেষ্টা করেছে। কিন্তু গোল হওয়ার মতো কার্যকর আক্রমণ গড়ে ওঠেনি।
ভারতীয় দলের মাঝমাঠকে অকেজো করতে ‘কিক অ্যান্ড রান’ ফুটবল খেলার চেষ্টা করেছেন মরিশাসের ফুটবলারেরা। তাঁদের কৌশল ভাঙার মতো বিকল্প কৌশল দেখা যায়নি ভারতীয় দলের কোচের। একাধিক ফুটবলার পরিবর্তন করেও দলের খেলার রং বদলাতে পারেননি মানোলো। আক্রমণে সুনীল ছেত্রীর অভাবও বোঝা গেল। ভারতীয় স্ট্রাইকারেরা প্রতিপক্ষের রক্ষণকে চাপও রাখতে পারেননি। বক্সের মধ্যে স্ট্রাইকারসুলভ ছটফটানি দেখা গেল না কারও মধ্যে।
বলের দখল অধিকাংশ সময় ছিল ভারতীয় ফুটবলারদের পায়ে। বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু আক্রমণ তৈরির চেষ্টা হলেও বক্সে খেই হারিয়েছেন মনবীরেরা। গোটা ম্যাচে ন’টি শট মেরেছেন ভারতীয় ফুটবলারেরা। তার মধ্যে মাত্র একটি ছিল গোলের মধ্যে। সেটিও আটকাতে মরিশাসের গোলরক্ষককে বিশেষ বেগ পেতে হয়নি। সব মিলিয়ে আন্তঃমহাদেশীয় কাপের প্রথম ম্যাচে ফুটবলপ্রেমীদের এক রাশ হতাশা উপহার দিল মানোলোর দল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy