বোরহা হেরেরা। ছবি: এক্স (টুইটার)।
আইএসএলের ম্যাচে শুক্রবার ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করেছেন এফসি গোয়ার বোরহা হেরেরা। তাঁর তিন গোলেই হেরেছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। তবু যুবভারতীতে তেমন উচ্ছ্বাস করতে দেখা যায়নি বোরহাকে। দলকে জিতিয়েও কেন শান্ত ছিলেন তিনি? স্প্যানিশ মিডফিল্ডার নিজেই উত্তর দিয়েছেন। কলকাতা থেকে ৩ পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে পেরে খুশি গোয়ার কোচ মানোলো মার্কেজ়।
গত মরসুমে লাল-হলুদ জার্সি পরে খেলেছিলেন বোরহা। ইস্টবেঙ্গলের কলিঙ্গ সুপার কাপ জয়ের নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। অথচ বিস্ময়কর ভাবে সুপার কাপের পরই বোরহাকে ছেড়ে দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল কর্তৃপক্ষ। তার পরই গোয়ায় যোগ দেন বোরহা। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলে ভারতীয় ফুটবলে জায়গা তৈরি করে নেওয়ার কথা ভোলেননি কার্লেস কুয়াদ্রাতের প্রাক্তন ছাত্র। তিনি বলেছেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে এই ম্যাচটা আমার কাছে আলাদা। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদেরও পছন্দ করি। ওঁদের প্রচুর সমর্থন পেয়েছি। কলকাতায় ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলার অনুভূতি দারুণ ছিল। এফসি গোয়ার হয়েও খেললাম। এই ম্যাচেও ভাল অভিজ্ঞতা হল। গোল করার পর লাল-হলুদ সমর্থকদের কথা মনে পড়ল। ওদের কথা ভেবে উৎসব করতে পারিনি।’’ নিজের হ্যাটট্রিকের থেকেও বোরহা বেশি খুশি দল ৩ পয়েন্ট পাওয়ায়। ম্যাচের সেরা ফুটবলার হওয়া স্প্যানিশ মিডমিল্ডার বলেছেন, ‘‘এই জয়টা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম দুটো ম্যাচে আমরা ভাল খেলতে পারিনি। ফলও ভাল হয়নি। পরের ম্যাচগুলোয় আমাদের ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের পারফরম্যান্স ধরে রাখতে হবে।’’
বোরহা এখন গোয়ার। দলের জন্য নিজের সেরাটা উজাড় করে দিতে চান। আরও গোল করতে চান। তবু ইস্টবেঙ্গল নিয়ে আলাদা আবেগ রয়েছে তাঁর। তিনি বলেছেন, ‘‘খানিকটা আবেগপ্রবণ লাগছিল। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে শ্রদ্ধা করি। লাল-হলুদ সমর্থকেরাও আমার প্রিয়। ইস্টবেঙ্গলের দিনগুলো এখনও মনে রয়েছে। সমর্থকদের ধন্যবাদ জানানো ছাড়া কিছু বলার নেই।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘কলকাতায় এসে অনেক পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা গেল। অনেকে মেসেজ করেছেন। সত্যি বলতে আমি আপ্লুত।’’
দল জয় পাওয়ায় খুশি গোয়ার কোচ মার্কেজ়। তিনি শুক্রবার ম্যাচের পর বলেছেন, ‘‘দুটো দলের সময়ই খারাপ যাচ্ছে। তাই এই ম্যাচটায় মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ের একটা ব্যাপার ছিল। ম্যাচটা আমরা ভাল ভাবে শুরু করতে পেরেছিলাম। শুরুর দিকে দু’গোল পেয়ে যাই। আমাদের উচিত ছিল, ম্যাচটা তার পরই শেষ করে দেওয়া। কিন্তু পেনাল্টি থেকে গোল করে ইস্টবেঙ্গল আবার লড়াইয়ে ফিরল। শেষ পর্যন্ত জয় এসেছে। খুব প্রয়োজন ছিল।’’
মার্কেজ় জানিয়েছেন, ইস্টবেঙ্গল ঘরের মাঠে চাপে থাকবে জানতেন। বিশেষ করে প্রথম দুটো ম্যাচ হারার পর দলে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতিও থাকবে। সেটাই ছেলেদের কাজে লাগাতে বলেছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy