কখনও ফেরাতেন না সুরজিৎ, বললেন শোকগ্রস্ত তনুময় ফাইল ছবি
ব্যান্ডেলের কেওটা ত্রিকোণ পার্ক থেকে কলকাতার ময়দান। মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল-মহমেডান — তিন প্রধানের হয়ে বিপক্ষের রক্ষণে ভয় ধরানো সুরজিৎ সেনগুপ্ত চলে গেলেন না ফেরার দেশে। ঘরের ছেলের মৃত্যুতে শোকের ছায়া হুগলির ক্রীড়ামহলে।
ছেলেবেলায় অচ্যুৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অশ্বিনী বরাটের (ভোলাদা) কাছে ফুটবলের তালিম নিয়েছিলেন সুরজিৎ। কলকাতা ময়দানের আগে চুঁচুড়া বেঙ্গল ক্লাব, হুগলি ক্লাবে খেলেছেন। বৃহস্পতিবার চুঁচুড়া মাঠে সুপার ডিভিশন লিগের ম্যাচ চলাকালীনই সুরজিতের মৃত্যুর খবর পৌঁছয়। তখনই খেলা থামিয়ে ফুটবলাররা নীরবতা পালন করেন। শ্রদ্ধা জানান প্রয়াত ফুটবল তারকাকে।
সাতের দশকে সুরজিতের ফুটবল শিল্প পরবর্তীকালে দেখা গিয়েছিল কৃশানু দে-র মধ্যে। তাই কৃশানুকে অসম্ভব ভালোবাসতেন ব্যান্ডেলের বিশুদা। জামশিদ, সাবির আলিদের অনেক গোলের পিছনে অবদান ছিল সুরজিতের। মাপা সেন্টার রাখতেন ফরোযার্ডদের মাথায়। তা থেকে গোল করাই যেন ছিল ফরোয়ার্ডদের একমাত্র কাজ। সুরজিতের খেলা আনন্দ দিত দর্শকদেরও। এমন এক প্রাক্তন ফুটবলারের মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না ভারতের প্রাক্তন গোলরক্ষক তনুময় বসু।
খুব কাছ থেকে সুরজিতকে দেখেছেন তনুময়। তিনি বলেছেন, ‘‘করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর ভেবেছিলাম ফিরে আসবেন। যে ভাবে ফুটবল মাঠে লড়াই করতেন, সে ভাবেই করোনাকেও হারাবেন। কিন্তু সময়টা বড্ড খারাপ। একের পর এক নক্ষত্র পতন হয়েই চলেছে। ওঁর চলে যাওয়া অপূরণীয় ক্ষতি।’’ স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে তনুময় আরও বলেছেন, ‘‘হুগলি জেলা ক্রীড়া সংস্থার জন্য যখন যে প্রয়োজনেই ওঁর কাছে গিয়েছি, কখনও ফেরাননি। খেলাধুলোর উন্নতির জন্য সব সময় পরামর্শ দিতেন। যে কোনও অনুষ্ঠানে ডাকলেই আসতেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy