দুরন্ত: জোড়া গোলের পরে উল্লাস রাহুলের। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।
মহমেডানের জয়রথ থামিয়ে ডায়মন্ড হারবার এফসি-র ২-১ গোলে জয়ের আবহেই ম্যাচ কমিশনার তথা রেফারি পর্যবেক্ষক সুব্রত দাসকে শারীরিক নিগ্রহের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল প্রাক্তন ফুটবলার দেবজিৎ ঘোষের বিরুদ্ধে! দমদমে অমল দত্ত স্টেডিয়ামে পুলিশ এসি-র বিরুদ্ধে ম্যাচে ১-০ এগিয়েছিল রেনবো এসি। দ্বিতীয়ার্ধের সংযুক্ত সময়ে রেফারি দিন মহম্মদ মোল্লা পেনাল্টি না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হন রেনবোর কোচ দেবজিৎ। অভিযোগ, তিনি প্রথমে গলা টিপে ধরেন সুব্রতর। পরিস্থিতি সামলাতে রেফারি তাঁকে লাল কার্ড দেখান। তাতে আরও উত্তেজিত হয়ে পড়েন দেবজিৎ। এর পরে সুব্রতর হাতে ও কাঁধে আঘাত করেন তিনি। দেবজিতের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই আইএফএ-তে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন সুব্রত। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দেবজিতের কড়া শাস্তি হতে পারে।
দেবজিতের ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনার মধ্যেই চর্চার কেন্দ্রে ডায়মন্ড হারবারের কোচ কিবু ভিকুনা ও স্ট্রাইকার রাহুল পাসোয়ান। প্রথম জন সাদা-কালো শিবির ছেড়েছিলেন ব্যর্থতার যন্ত্রণা নিয়ে। আর এক জন পুরো মরসুমে মহমেডানের জার্সিতে মাত্র একটি ম্যাচেই খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। শনিবার ডায়মন্ড হারবারের জয়ের অন্যতম কারিগর তাঁরাই।
মণিপুরের হিংসাত্মক ঘটনায় মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শনিবার মহমেডান মাঠে ম্যাচ শুরু হয়। প্রথমার্ধে একাধিক সুযোগ পেয়েও গোল করতে পারেনি কোনও দল। ৬২ মিনিটে লালরেমসাঙ্গার পাস থেকে মহমেডানকে এগিয়ে দিয়েছিলেন বেনস্টন ব্যারেটো। এর পরে কিবু রণকৌশল বদলে ফেলতেই ডায়মন্ড হারবারের আক্রমণের ঝড়ে চাপ বাড়তে শুরু করে মহমেডান রক্ষণে। মিনিট তিনেকের মধ্যেই গোল লাইন থেকে বল বিপন্মুক্ত করতে গিয়ে হাতে লাগান দীপু হালদার। রেফারি নৃপেন হালদার পেনাল্টির নির্দেশ দিলেও তাঁকে লাল কার্ড না দেখানোয় অনেকেই বিস্মিত। ৬৭ মিনিটে সমতা ফেরান রাহুল।
এর পরেই আশ্চর্যজনক ভাবে খেলা থেকে হারিয়ে যায় মহমেডান। ৭৫ মিনিটে পেনাল্টি বক্সের ভিতর থেকে কার্যত বিনা বাধায় হেড করে ডায়মন্ড হারবারকে ২-১ এগিয়ে দেন রাহুলই। রেফারি সাত মিনিট সংযুক্ত সময় দিলেও হার বাঁচাতে পারেনি মহমেডান। এই জয়ের ফলে পাঁচ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপের টেবলের শীর্ষ স্থানে উঠে এল ডায়মন্ড হারবার। এক ম্যাচ কম খেলে নয় পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানেই থাকল মহমেডান।
দুরন্ত জয়ের পরে উচ্ছ্বসিত রাহুল বললেন, ‘‘গত মরসুমে মহমেডানের হয়ে ডুরান্ড কাপে মাত্র একটি ম্যাচেই খেলার সুযোগ পেয়েছিলাম। তাই জোড়া গোল করতে পেরে খুবই আনন্দ হচ্ছে।’’ কিবুর যদিও অতীত মনে রাখতে চান না, ‘‘এই জয়কে প্রতিশোধ হিসেবে দেখছি না। আমি খুশি ছেলেরা দুর্দান্ত জয় উপহার দেওয়ায়।’’
মহমেডান কর্তারা পাশে দাঁড়ালেন মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত দলের সাত মণিপুরের সদস্যদের। সচিব ইস্তিয়াক আহমেদ বললেন, ‘‘মণিপুরের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে দলের সাত সদস্য আতঙ্কে রয়েছে। মনঃসংযোগই করতে পারছে না। পরিবারের সদস্যরা মণিপুরে রয়েছে। ওদের বলেছি, পরিবারকে কলকাতায় আনতে। আমরা সকলের থাকার ব্যবস্থা করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy