ইস্টবেঙ্গলের ১৯৭০ সালের শিল্ড ফাইনালের নায়ক ছিলেন পরিমল দে। দীর্ঘ দিন রোগে ভুগছিলেন তিনি। ফাইল চিত্র
প্রাক্তন ফুটবলার পরিমল দে প্রয়াত। মঙ্গলবার রাত ১২.১৫ মিনিটে কসবায় নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। ১৯৭০ সালে ইস্টবেঙ্গলের শিল্ড ফাইনালের নায়ক ছিলেন তিনি। ময়দানে ‘জংলাদা’ নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন পরিমল।
দীর্ঘ দিন ধরে রোগে ভুগছিলেন পরিমল। অ্যালঝাইমারে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। পরে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছিল পরিমলের। বুধবার হবে তাঁর শেষকৃত্য।
পরিমলকে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা চিরকাল মনে রাখবেন ১৯৭০ সালে আইএফএ শিল্ডের ফাইনালের জন্য। ইরানের পাস ক্লাবের বিরুদ্ধে গোল করেছিলেন পরিমল। তাঁর করা একমাত্র গোলেই শিল্ড চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। সেই ম্যাচে অবশ্য শুরু থেকে খেলেননি তিনি। পরিবর্ত হিসাবে নেমে গোল করেছিলেন।
১৯৬৪ সালে উয়াড়ি থেকে ইস্টবঙ্গলে সই করেছিলেন পরিমল। খেলতেন ফরোয়ার্ড হিসাবে। লাল-হলুদের হয়ে টানা ৬ বছর খেলেছেন তিনি। ১৯৬৮ সালে দলের অধিনায়কও হয়েছিলেন। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ভাল খেলার জন্য ২০১৪ সালে তাঁকে জীবনকৃতি সম্মান দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল।
তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোকবার্তায় তিনি বলেন, ‘‘বিশিষ্ট ফুটবলার পরিমল দের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রাক্তন অধিনায়ক কিংবদন্তি ফুটবলার পরিমল দে ময়দানে ‘জংলাদা’ ও ‘গ্ল্যামার বয়’ নামে পরিচিত ছিলেন। ১৯৭০ সালে আইএফএ শিল্ড ফাইনালে তিনি নায়কের ভূমিকা পালন করেছিলেন।’’
তাঁকে রাজ্য সরকার সম্মানিত করেছিল, সে কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে ২০১৮-১৯ সালে ‘বাংলার গৌরব’ সম্মান প্রদান করে। এছাড়া তিনি ‘জীবনকৃতী’-সহ অজস্র সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। তাঁর প্রয়াণে ক্রীড়া জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি পরিমল দের পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy