এমবাপের দেশে ফুটবলে কড়া শাস্তি। ফাইল ছবি
মাঠে রেফারির সঙ্গে ফুটবলারের ঝামেলা প্রায়শই দেখা যায়। কোনও সিদ্ধান্ত পছন্দ না হলে রেফারির প্রতি বিরূপ হয়ে পড়েন ফুটবলাররা। রেফারির গায়ে হাত তোলা বা গালিগালাজের মতো ঘটনা ঘটেই থাকে। তাই বলে রেফারিকে ঘুসি মেরে ৩০ বছরের নির্বাসন। এমন ঘটনা ফুটবলে কবে ঘটেছে তা অনেকেই মনে করতে পারছেন না।
ফ্রান্সের অ্যামেচার ফুটবলে এই দৃশ্য দেখা গিয়েছে। মধ্য ফ্রান্সের লোরিয়ে জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে। যে ফুটবলার এই কাজ করেছেন, তাঁর আসল নাম জানা যায়নি। তবে উদ্যোক্তাদের তরফে তাঁকে উল্লেখ করা হয়েছে ‘ফ্যানাটিক’ বলে। ম্যাচ চলাকালীন রেফারির সিদ্ধান্তে খুশি হতে না পেরে সটান ঘুসি মারেন তিনি। রেফারি ভালই চোট পেয়েছেন। এতটাই যে দু’দিন কোনও কাজ করতে পারেননি। তবে ঘটনাটিকে মোটেই ছোট করে দেখতে রাজি নয় উদ্যোক্তারা।
গত ৮ জানুয়ারির ঘটনা হলেও প্রকাশ্যে এসেছে সম্প্রতি। এতেঁত স্পোর্টিভা গাতিনায়িজ়ের হয়ে খেলতেন ওই ফুটবলার। ক্লাবকেও প্রতিযোগিতা থেকে দু’বছরের জন্য নির্বাসিত করা হয়েছে। উদ্যোক্তাদের তরফে বেনয়েঁ লেনঁ বলেছেন, “যে শাস্তি দেওয়া হয়েছে তা একেবারে ঠিক। এই ধরনের ফুটবলারদের আরও কোনও দিন মাঠে নামা উচিত নয়। ফুটবলের কলঙ্ক এরা।”
ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা ফিফাও এ ধরনের ঘটনা বরদাস্ত করে না। গত শনিবার উরুগুয়ের চার ফুটবলারকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। ফিফার তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গোলকিপার ফার্নান্দো মুসলেরা এবং ডিফেন্ডার হোসে মারিয়া জিমেনেজকে চার ম্যাচের জন্য নির্বাসিত করা হয়েছে। পাশাপাশি এডিনসন কাভানি এবং দিয়েগো গোডিন একটি করে ম্যাচে খেলতে পারবেন না। শাস্তিপ্রাপ্ত প্রত্যেককেই ফুটবলের জন্য সামাজিক কাজ করতে হবে। সেই সঙ্গেই প্রত্যেককে ২০ হাজার সুইস ফ্রাঁ (প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা) জরিমানা দিতে হবে। উরুগুয়ে ফুটবল সংস্থাকেও ৫০ হাজার সুইস ফ্রাঁ (প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা) জরিমানা দিতে বলা হয়েছে।
গত ২ ডিসেম্বর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ঘানাকে হারিয়েও বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যায় লুই সুয়ারেসের দেশ উরুগুয়ে। ম্যাচের পরেই সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে জিমেনেজকে দেখা যায় ফিফার কম্পিটিশন ডিরেক্টরকে কনুই দিয়ে আঘাত করতে। মাথার পিছনে আঘাত করেন তিনি। এখানেই থামেননি। চেঁচিয়ে রেফারিদের প্রকাশ্যে ‘চোর’ বলে সম্বোধন করেন। এটাও বলে দেন, তাঁর কথা রেকর্ড করে রাখতে। আরও এমন কিছু কথা বলেছেন যা ছাপার অযোগ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy