এএফসি কাপে খেলার সম্ভাবনা বাড়ছে এটিকে মোহনবাগানের। ফাইল ছবি
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানির পর অনেকটাই দুশ্চিন্তামুক্ত ভারতীয় ফুটবল। প্রশাসকদের কমিটির (সিওএ) থেকে দায়িত্ব কেড়ে নিয়ে সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা (এআইএফএফ) চালানোর ভার ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল সুনন্দ ধরের হাতে। নির্বাচন ২৮ অগস্ট থেকে এক সপ্তাহ পিছোলেও ফিফার নির্দেশ মেনেই তা হবে। সূত্রের খবর, সব ঠিক থাকলে চলতি সপ্তাহেই ফিফার নির্বাসন উঠে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে এটিকে মোহনবাগানের এএফসি কাপে অংশ নিতে কোনও সমস্যা নেই। ভারতের জাতীয় দলও আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেলতে পারবে। সংশয় থাকবে না অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ আয়োজন করা নিয়েও।
রবিবার কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের তরফে নতুন করে আবেদন করে ১৮ মে এবং ৩ অগস্টের নির্দেশ সংশোধনের অনুরোধ করা হয়। বলা হয়, অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ আয়োজন করতে এবং নির্বাসন ওঠাতে এটাই একমাত্র পথ। সুপ্রিম কোর্ট সেই আবেদন মেনে নিয়ে তাদের পুরনো দু’টি নির্দেশ সংশোধন করে, যার ফলে অবলুপ্ত হয়ে যায় সিওএ। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের তরফে ফিফার সব নির্দেশ মেনে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টও তাতে রাজি।
সূত্রের খবর, এ দিন শীর্ষ আদালত যে নির্দেশ দিয়েছে তা সরকারের তরফে ফিফার কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিষ্কার ভাবে তাতে ফিফার নির্দেশ মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। ফলে নির্বাচনের আগেই নির্বাসন তুলে নেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এমনকি, এই সপ্তাহেই নির্বাসন তুলে নেওয়া হতে পারে।
সে ক্ষেত্রে, এটিকে মোহনবাগান যেমন এএফসি কাপ খেলার সুযোগ পাবে, তেমনই সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে ভিয়েতনাম এবং সিঙ্গাপুরের বিরুদ্ধে ভারতীয় ফুটবল দলের প্রদর্শনী ম্যাচ হতেও বাধা থাকবে না। সবুজ-মেরুনের এএফসি কাপ খেলার ব্যাপারে আশাবাদী সচিব দেবাশিস দত্ত। বলেছেন, “আজকে সুপ্রিম কোর্টের রায় আমাদের কাছে বিরাট স্বস্তির। খুব সম্ভবত আমরা এএফসি কাপে খেলতে চলেছি।”
সোমবার সকালের শুনানিতে কেন্দ্রের আবেদনকেই মান্যতা দেয় সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, প্রশাসক কমিটির (সিওএ) আর কোনও ক্ষমতা থাকবে না। নির্বাচন এক সপ্তাহ পিছনোর পাশাপাশি জানানো হয়, নির্বাচন পরিচালনা করবেন ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী সচিব। ৩৬ সদস্যের ভোটার তালিকা তৈরি হবে।
এ দিন সকালে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ভাইচুং ভুটিয়া। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক আবেদন করেন, প্রশাসক কমিটির তৈরি করা খসড়া সংবিধানকেই মান্যতা দেওয়া হোক। কিন্তু প্রশাসক কমিটিরই অস্তিত্ব না থাকায় ভাইচুংয়ের আবেদনের আর কোনও যুক্তি নেই। কেন্দ্রের তরফে তাঁর কাছে অনুরোধ করা হয়েছে, ভারতীয় ফুটবলের আরও বৃহত্তর স্বার্থে ব্যবহার করা হবে ভাইচুংকে।
রবিবার রাতে সিওএ-কে সরানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানিয়েছিল কেন্দ্র। ফিফার সমস্ত দাবি মেনে নিতে চেয়েছিল তারা। সিওএ-র হস্তক্ষেপ তুলে নিতে যেমন আবেদন করেছিল, তেমনই প্রাক্তন ফুটবলারদের ভোটাধিকার না দেওয়ারও দাবি জানিয়েছিল তারা। সেই সঙ্গে প্রফুল্ল পটেলের নেতৃত্বে থাকা দলকে এআইএফএফ-এর অংশ না করার আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy