Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Lionel Messi

কেন ডুবল আর্জেন্টিনা, সৌদি আরবের বিরুদ্ধে কোথায় ভুল করলেন মেসিরা?

প্রথম ম্যাচে হারের পরেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, বিশ্বকাপ জেতা তো দূর, এই আর্জেন্টিনা গ্রুপ পর্ব পেরোতে পারবে তো? সেই উত্তর দিতে পারবেন কি মেসিরা?

আর্জেন্টিনা মঙ্গলবার যেমন খেলেছে, তাতে বাকি দুই প্রতিপক্ষ মেক্সিকো এবং পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাদের কাজ অনেক কঠিন বলেই মনে করা হচ্ছে।

আর্জেন্টিনা মঙ্গলবার যেমন খেলেছে, তাতে বাকি দুই প্রতিপক্ষ মেক্সিকো এবং পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাদের কাজ অনেক কঠিন বলেই মনে করা হচ্ছে। ছবি: রয়টার্স

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২২ ২২:৩৬
Share: Save:

গ্রুপের সবচেয়ে সহজ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছিল আর্জেন্টিনা। ম্যাচের শেষে তা বদলে গেল দুঃস্বপ্নে। ১-২ গোলে হেরে মাঠ ছাড়লেন লিয়োনেল মেসিরা। তার পরেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, বিশ্বকাপ জেতা তো দূর, এই আর্জেন্টিনা গ্রুপ পর্ব পেরোতে পারবে তো?

প্রশ্ন ওঠা অমূলক নয়। বিশেষত আর্জেন্টিনা মঙ্গলবার যেমন খেলেছে, তাতে বাকি দুই প্রতিপক্ষ মেক্সিকো এবং পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাদের কাজ অনেক কঠিন বলেই মনে করা হচ্ছে। বহু বিষয় রয়েছে যা আগামী তিন দিনের মধ্যে শোধরাতে হবে আর্জেন্টিনাকে। মঙ্গলবার কোথায় কোথায় ভুল করল আর্জেন্টিনা?

১) প্রথম থেকেই বার বার অফসাইডের ফাঁদে পড়ছিল আর্জেন্টিনা। নীল-সাদা জার্সিধারীরা যখন আক্রমণ করছিলেন, তখন ইচ্ছে করে কিছুটা এগিয়ে যাচ্ছিলেন সৌদি ডিফেন্ডাররা। লাউতারো মার্তিনেস সেই ফাঁদে বার বার পা দিলেন। ম্যাচে মোট ১০ বার অফসাইড হয়েছে আর্জেন্টিনার। এর মধ্যে বেশি ভুল করেছেন লাউতারো। ফলে বার বার আক্রমণের মুখ ঘুরে গিয়েছে। মেসি নিজেও অফসাইড হয়েছেন। এক চুলের জন্যে অফসাইড হওয়া ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। না হলে তিনটে গোল বাতিল হয়!

২) প্রথমার্ধে যে ভাবে আক্রমণাত্মক শুরু করেছিল আর্জেন্টিনা, তাতে প্রথম ৪৫ মিনিটেই উচিত ছিল দু’-তিন গোল করে দেওয়া। বল জালে জড়িয়েছিলেন মেসিরা। কিন্তু বেশি হুড়োহুড়ি করতে গিয়ে অফসাইড হয়েছে। আরও একটু সতর্ক থাকলে প্রথমার্ধেই ম্যাচ শেষ করে দেওয়া যেত।

৩) দ্বিতীয়ার্ধে সৌদি আরব যে এ ভাবে প্রত্যাবর্তন করতে পারে, এটা আর্জেন্টনা ভাবতেও পারেনি। হয়তো লিয়োনেল মেসিরা একটু খাটো করেই দেখেছিলেন প্রতিপক্ষকে। ভেবেছিলেন, এক গোলে তো এগিয়ে রয়েছেন। দ্বিতীয়ার্ধে হয়তো আরও এক গোল দিয়ে দেওয়া যাবে। প্রতিপক্ষকে ছোট করে দেখার জন্যেই তাদের হারতে হল কিনা, তা অবশ্য সময়ই বলবে।

৪) সৌদি আরবের কোচ হার্ভে রেনার্ডের আলাদা করে প্রশংসা প্রাপ্য। তিনি ভালই জানতেন, দলের ফুটবলাররা শিল্প বা প্রতিভায় আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে পেরে উঠবেন না। তাই শারীরিক শক্তি দিয়ে দমিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন আর্জেন্টিনাকে। মাঝে মাঝে মেজাজ হারাতেও দেখা গেল লিয়োনেল স্কালোনির দলের ছেলেদের। কিন্তু সৌদিদের যে প্রতিভাও কম নয়, সেটা বোঝা গেল তাদের করা দুটো গোলে। বিশেষত দ্বিতীয় গোলের ক্ষেত্রে কোনও গোলকিপারেরই বাঁচানো সম্ভব নয়।

৫) বিশ্বকাপে কোনও দিনই ভরসা দিতে পারেনি আর্জেন্টিনার রক্ষণ। এ বারও যে পারবে, তা অন্তত প্রথম ম্যাচ দেখে বোঝা গেল না। কমজোরি সৌদিদের বিরুদ্ধেই হারতে হল। এর পর হেক্টর মোরেনোদের মেক্সিকো, রবার্ট লেয়নডস্কিদের পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে কী হবে, সেটা ভেবে আতঙ্কে থাকতে পারেন সমর্থকরা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy