দাপট: কোস্টা রিকাকে উড়িয়ে যাত্রা শুরুর উল্লাস স্পেনের। ছবি রয়টার্স।
বহুচর্চিত তিকি-তাকা ফুটবল ফিরল আবার। নতুন আঙ্গিকে। এক ঝাঁক তরুণের মনভোলানো অপূর্ব ফুটবলের হাত ধরে। বুধবার সন্ধেয় জাপানের কাছে ইউরোপের অন্যতম সেরা শক্তিধর জার্মানির পতন দেখার পরে মনে হয়েছিল, স্পেনকেও কি বেগ দিতে পারে কেলর নাবাসের দল?
কিন্তু যা দেখলাম, তা দেখার পরে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গিয়েছি। স্পেনীয় ফুটবলের সৌন্দর্য বলতে গেলে বারবার চোখে ভেসে ওঠে ২০১০ বিশ্বকাপে জ়াভি, ইনিয়েস্তা, দাভিদ হিয়াদের অকল্পনীয় ফুটবল। মাঠ জুড়ে আছড়ে পড়ছে অগুনতি পাসের ঢেউ। প্রতিপক্ষ বুঝেই উঠতে পারছে না, এমন বাঁধভাঙা পাসের প্লাবন ঠেকাতে গেলে কী করণীয়।
লুইস এনরিকের নতুন প্রজন্মের স্পেন আবার ফেরাল সেই সুখস্মৃতি। গাভি, পেদ্রি, ফেরান তোরেস, ওলমো, আসেনসিয়ো। একুশ শতকের নতুন স্পেনের এরাই কান্ডারি। গোল হল সাতটা, কিন্তু আরও একটু সতর্ক হলে হয়তো স্কোরলাইনটা অনায়াসে ১০-০ হতে পারত। ম্যাচের পরে বিস্ময়কর কিছু পরিসংখ্যান চোখে পড়ল। পুরো ম্যাচে স্পেনের ফুটবলাররা খেলেছে ১০৫৬টি পাস! তার মধ্যে পাস সম্পূর্ণ হয়েছে ৯৯৪। গোলমুখী শট ১৭টি, তার মধ্যে গোল হয়েছে সাতটা! ম্যাচে স্পেনের দখলে বল ছিল ৭১ শতাংশ। স্পেনের দ্বিতীয় গোলটাই হল ২২ পাস খেলে! এর পরে একটা ম্যাচে আর কী পড়ে থাকতে পারে! কোস্টা রিকা প্রথম ৪৫ মিনিটের পরেই দিশা হারিয়ে ফেলে।
সে ভাবে দেখলে নতুন ঘরানার এই স্পেনের আগমন টের পাওয়া গিয়েছিল ইউরো ২০২০-তে। হয়তো ফাইনালে পৌঁছতে পারেনি এনরিকের দল, কিন্তু ফুটবলবিশ্ব বোধহয় জ়াভি, ইনিয়েস্তাদের উত্তরসূরিদের ক্ষমতার গভীরতা অনুভব করতে পারেনি। যা এ বার ফের ফুটে উঠেছিল উয়েফা নেশনস লিগে। সেখানেও কিন্তু এই দলটা সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে।
ম্যাচের বিরতিতে আমার এক বন্ধু ফোন করে জানতে চাইছিল, ভয়ঙ্কর সুন্দর এই স্পেনের উত্থানের রহস্যটা কী? আমার কাছে উত্তরটা খুব সহজ। এনরিকের দল তারকা নির্ভরতার তত্ত্বে বিশ্বাসই করে না। একটা মেসি বা রোনাল্ডো বা নেমার বা এমবাপে দিয়ে টানা যুদ্ধ জয় সম্ভব নয়। তার জলজ্যান্ত উদাহরণ হয়ে রয়েছে আর্জেন্টিনা আর জার্মানির হার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy