বিশ্বকাপের লড়াই শেষ হওয়ার তিন সপ্তাহের মধ্যেই আবার ক্লাবের হয়ে পাশাপাশি খেলতে পারেন মেসি এবং এমবাপে। ছবি: টুইটার।
শুরু হয়ে গিয়েছে বিশ্বকাপ ফাইনালের কাউন্ট ডাউন। আর্জেন্টিনা এবং ফ্রান্স দু’দলই প্রতিপক্ষের শক্তি, দুর্বলতা জরিপ করে পরিকল্পনা তৈরি করছে। বিপক্ষের আক্রমণ থেকে দলের সেরা ফুটবলারকে যতটা সম্ভব সুরক্ষিত ভাবে খেলতে দেওয়াও অন্যতম চ্যালেঞ্জ থাকে কোচদের। সেই সেরার লড়াইয়ে উঠে আসছে দু’টি নাম। লিয়োনেল মেসি এবং কিলিয়ান এমবাপে।
রবিবারের ফাইনালে এই দুই ফুটবলারই চেষ্টা করবেন পরস্পরকে ছাপিয়ে যাওয়ার। পেশাদার ফুটবলার হিসাবে সব ম্যাচেই করেন তাঁরা। এখন অবশ্য পরিস্থিতি আলাদা। সারা বছর মেসি নিশ্চিম্তে বল বাড়িয়ে দেন এমবাপেকে। ফ্রান্সের তরুণ স্ট্রাইকারও নির্দ্বিধায় পাস দেন আর্জেন্টিনার অভিজ্ঞ খেলোয়াড়কে। সারা বছরের বিশ্বস্ত সতীর্থই রবিবার দোহার লুসাইল স্টেডিয়ামে প্রধান প্রতিপক্ষ।
ফ্রান্সের ক্লাব প্যারিস সঁ জরমঁ-তে খেলেন মেসি এবং এমবাপে। বিশ্বকাপ তাঁদের এক মাসের প্রতিপক্ষ করে দিয়েছে। কয়েক দিন পর আবার পাশাপাশি খেলবেন ক্লাবের নীল জার্সি গায়ে। নীল জার্সি কাতারেও আছে তাঁদের সঙ্গে। নীল থাকলেও মিল নেই। মিল থাকলেও সারা বছরের বিশ্বাস বা ভরসা নেই।
সেমিফাইনাল পর্যন্ত মেসি এবং এমবাপে দু’জনেই বিশ্বকাপে গোল করেছেন পাঁচটি করে। সোনার বুটের লড়াইয়ে তাঁরাই মূল প্রতিপক্ষ। সোনার বলের লড়াইয়েও আছেন। দু’জনেই দ্বিতীয় বার বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলবেন। দুই সতীর্থের অমিলও রয়েছে। এমবাপে এক বার বিশ্বকাপ পেয়েছেন। মেসি এখনও পাননি। তাঁরা এখন সতীর্থ নন, প্রতিপক্ষ। পরস্পরের শক্তি এবং দুর্বলতা জানেন।
বিশ্বকাপ শুরুর আগেই এক সাক্ষাৎকারে মেসি বলেছিলেন, ‘‘এমবাপে একটু অন্য রকম ফুটবলার। শক্তিশালী। একের বিরুদ্ধে এক অবস্থায় খুব শক্তিশালী। জায়গা তৈরি করে নিতে পারে। বেশ ভাল গতি রয়েছে। এমবাপে সম্পূর্ণ ফুটবলার। গত কয়েক বছর ধরেই সেটা ও প্রমাণ করছে। সন্দেহ নেই আগামী কয়েক বছরে ও সেরাদের তালিকায় চলে আসবে।’’ এমপাবেও ক্লাব সতীর্থ সম্পর্কে শ্রদ্ধাশীল।
রবিবারের ম্যাচ শেষ হয়ে গেলেই মেসি, এমবাপে আবার সতীর্থ। একসঙ্গে খেলবেন। একসঙ্গে ভাববেন। একসঙ্গেই জিতবেন বা হারবেন। আনন্দ করবেন বা হতাশ হবেন। আপাতত তাঁরা একের হতাশায় আর এক জন আনন্দিত হবেন।
বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার দিন ২০ পরেই আবার পাশাপাশি খেলতে দেখা যেতে পারে তাঁদের। ৭ জানুয়ারি ফ্রেঞ্চ কাপের ম্যাচে প্যারিস সঁ জরমঁর খেলা রয়েছে। সে দিনই মেসি, এমবাপে আবার পাশাপাশি খেলতে পারেন। তা না হলেও ১৫ ফেব্রুয়ারি তাঁরা অবশ্যই খেলবেন একসঙ্গে। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সে দিন প্যারিস সঁ জরমঁর লড়াই বায়ার্ন মিউনিখ। প্রতিপক্ষ থেকে সতীর্থ হয়ে যাবেন তাঁরা। অপেক্ষা শুধু রেফারির ফাইনাল শেষের বাঁশি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy