অসুস্থ পেলে হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই দেখেছেন এ বারের বিশ্বকাপের খেলা। ছবি: টুইটার।
বিশ্বকাপ জয়ের পর পেলের বার্তা পেলেন লিয়োনেল মেসি। ব্রাজিলকে তিন বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করা প্রাক্তন ফুটবলার বলেছেন, যোগ্য হিসাবেই বিশ্বকাপ জিতেছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন এমবাপেকে নিয়েও। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয় দেখে তাঁর মনে পড়েছে মারাদোনার হাসিমুখ।
রবিবার আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স ফাইনালের পর সমাজমাধ্যমে পেলে লিখেছেন, ‘‘বরাবরের মতো ফুটবল তার গল্প বলেই চলেছে। খুবই চিত্তাকর্ষক ভাবে গল্প বলছে ফুটবল। মেসি প্রথম বার বিশ্বকাপ জিতল। ওর ফুটবলের যা গতিপথ, তাতে এটা ওর প্রাপ্যই ছিল। অভিনন্দন আর্জেন্টিনা। দিয়েগো (মারাদোনা) এখন নিশ্চয়ই হাসছে।’’ লেখার সঙ্গে মেসিদের উল্লাসের ছবি দিয়েছেন তিনি।
পেলে প্রশংসা করেছেন ক্লাব ফুটবলে মেসির সতীর্থ কিলিয়ন এমবাপেরও। ফাইনালে হ্যাটট্রিক করেছেন ফ্রান্সের স্ট্রাইকার। টাইব্রেকারেও গোল করেছেন তিনি। এমবাপের প্রশংসা করে পেলে লিখেছেন, ‘‘আমার প্রিয় বন্ধু এমবাপে ফাইনালে চারটে গোল করেছে। ফুটবলের ভবিষ্যতের জন্য ও দুর্দান্ত উপহার। ওর এই খেলা দেখাও প্রাপ্তি।’’
বিশ্বকাপে মরক্কোর খেলাও মনে ধরেছে পেলের। আফ্রিকার প্রথম দেশ হিসাবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠা মরক্কো সম্পর্কে মেসি বলেছেন, ‘‘মরক্কোকে অভিনন্দন জানাতে ভুলে যাওয়া উচিত হবে না। অবিশ্বাস্য ফুটবল খেলছে ওরা। আফ্রিকাকে এ ভাবে জ্বলে উঠতে দেখে দারুণ লাগল।’’
দু’দলের হাড্ডাহাড্ডি ফাইনাল ৩-৩ গোলে শেষে হয় অতিরিক্ত সময়। তার পর টাইব্রেকারে ৩৬ বছরের খরা কাটিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা। টাইব্রেকার নিয়ে এমবাপে করেছেন ৪টি গোল। তিনি হ্যাটট্রিক করলেও ফ্রান্সকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করতে পারেননি এমবাপে। ব্রাজিলের পর ফ্রান্সের সামনে পর পর দু’বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ ছিল কাতারে। অন্য দিকে, টাইব্রেকার-সহ রবিবার ৩টি গোল করেছেন মেসি।
প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে সাও পাওলোর অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন পেলে। কিছু দিন আগে কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার। তার পর শ্বাসকষ্টের সমস্যার জন্য তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ফুসফুসেও সংক্রমণ ছিল। গত কয়েক বছর ধরে মূত্রাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত তিনি। বিশ্বকাপের সময় তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয় ফুটবলপ্রেমীদের মনে। ফুসফুসের সংক্রমণ এবং শ্বাস কষ্টের সমস্যা কমলেও বয়সের কথা ভেবে ৮২ বছরের ফুটবলারকে এখনও হাসপাতালেই রেখেছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালের ঘরেই এ বার বিশ্বকাপের খেলা দেখেছেন পেলে। মাঝেমধ্যেই জানিয়েছেন নিজের মতামত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy