Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
FIFA World Cup 2022

ইকুয়েডর-সেনেগাল ম্যাচে নাটক, কাতারকে হারিয়ে নেদারল্যান্ডস শেষ ষোলোয়, সঙ্গে গেল কোন দল

গ্রুপ এ থেকে বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় যাওয়ার সুযোগ ছিল তিনটে দলের। নেদারল্যান্ডস, ইকুয়েডর ও সেনেগালের। এই গ্রুপ থেকে কোন দুটো দল গেল বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে?

গ্রুপ শীর্ষে থেকে বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় নেদারল্যান্ডস। কাতারের বিরুদ্ধে গোলের পরে নেদারল্যান্ডসের ফুটবলারদের উল্লাস।

গ্রুপ শীর্ষে থেকে বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় নেদারল্যান্ডস। কাতারের বিরুদ্ধে গোলের পরে নেদারল্যান্ডসের ফুটবলারদের উল্লাস। ছবি: রয়টার্স

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২২ ২২:৩০
Share: Save:

কাতারের বিরুদ্ধে লড়াইটা সহজ ছিল নেদারল্যান্ডসের। সেটাই দেখা গেল। কাতারকে ২-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপ এ-র শীর্ষে থেকে বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে গেল নেদারল্যান্ডস। অন্য দিকে ইকুয়েডর-সেনেগাল ম্যাচ যে দল জিতত, সেই দলই পৌঁছে যেত শেষ ষোলোয়। ইকুয়েডর অবশ্য ড্র করলেও পরের রাউন্ডে চলে যেত। কিন্তু টান টান ম্যাচে ইকুয়েডরকে ২-১ গোলে হারিয়ে দিল সেনেগাল। এই গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় দল হিসাবে বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় গেল আফ্রিকার এই দল।

কাতারের বিরুদ্ধে নামার আগে গ্রুপের শীর্ষেই ছিল নেদারল্যান্ডস। তাই অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে নেমেছিল তারা। অন্য দিকে প্রথম দু’টি ম্যাচ হারায় কাতারের কাছে কিছু হারানোর ছিল না। সম্মানের জন্য খেলতে নেমেছিল তারা। প্রথম ২০ মিনিট দাপট দেখিয়ে খেলছিল কাতার। বেশ কয়েকটি সুযোগও তৈরি করে তারা। কিন্তু গোল করতে পারেনি।

প্রথমে কাতারের আক্রমণে কিছুটা খেই হারিয়ে ফেললেও ধীরে ধীরে খেলার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নেয় নেদারল্যান্ডস। ২৬ মিনিটের মাথায় দলের প্রথম গোল করে কোডি গাকপো। এ বারের বিশ্বকাপের তিনটি ম্যাচেই গোল করলেন তিনি। গোল খাওয়ার পরে হতোদ্যম হয়ে যায় কাতার। খেলায় জাঁকিয়ে বসে নেদারল্যান্ডস।

দ্বিতীয়ার্ধের পাঁচ মিনিটের মাথায় কাতারের রক্ষণের ভুলে দ্বিতীয় গোল করে নেদারল্যান্ডস। এ বার গোলের খাতায় নাম লেখান ফ্রেঙ্কি ডি জং। পরে নেদারল্যান্ডসের একটি গোল হ্যান্ডবলের কারণে বাতিল হয়। নইলে ব্যবধান আরও বাড়ত। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলে জিতে মাঠ ছাড়ে নেদারল্যান্ডস। তিন ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে পরের রাউন্ডে যায় তারা।

অন্য দিকে পরের রাউন্ডে জিতে ম্যাচ ড্র করলেই চলত ইকুয়েডরকে। তাগিদ বেশি ছিল সেনেগালের। সেটা মাঠে দেখা যাচ্ছিল। প্রথমার্ধে অনেক বেশি আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে সেনেগাল। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারছিল না তারা। শেষ পর্যন্ত প্রথমার্ধের শেষে পেনাল্টি পায় আফ্রিকার দেশ। গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ইসমাইলা সার।

দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধ করার মরিয়া চেষ্টা শুরু করে ইকুয়েডর। অধিনায়ক এন্নার ভ্যালেন্সিয়ার নেতৃত্বে আক্রমণের ঝড় তোলে তারা। ফলও মেলে। ৬৮ মিনিটে কর্নার থেকে গোল করে সমতা ফেরান মোইসেস কাইসেডো। দেখে মনে হচ্ছিল, এই ম্যাচ থেকে ১ পয়েন্ট নিয়ে পরের রাউন্ডে পা দেবে ইকুয়েডর। কিন্তু তখনও নাটক বাকি ছিল।

গোল খাওয়ার ২ মিনিট পরে আবার এগিয়ে যায় সেনেগাল। ফ্রিকিক থেকে গোলের সামনে ফিরতি বল পান কৌলিবালি। সেনেগালের অধিনায়ক ডান পায়ের ভলিতে গোল করতে ভুল করেননি। জাতীয় দেশের জার্সিতে প্রথম গোল করলেন তিনি। এই গোলই দেশকে পৌঁছে দিল বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে। বাকি ২০ মিনিটে অনেক চেষ্টা করেও গোল শোধ করতে পারেনি ইকুয়েডর। শেষ পর্যন্ত হেরেই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy