মেসিদের দলে কি বদল হতে পারে? ছবি: রয়টার্স
কিছু দিন আগেই বিশ্বকাপের জন্য ২৬ জনের দল ঘোষণা করেছে আর্জেন্টিনা। ইতিমধ্যেই একটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলে ফেলেছে তারা। তার পরেই কোচ লিয়োনেল স্কালোনি জানিয়ে দিয়েছেন, দলে বদল হতে পারে। বেশ কিছু ফুটবলারের ফিটনেস নিয়ে খুশি নন তিনি। প্রয়োজনে দলে বদল করতে পারেন।
বুধবার সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে স্কালোনি খেলাননি ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো, নিকোলাস গঞ্জালেস, আলেজান্দ্রো গোমেজ় এবং পাওলো ডিবালাকে। শারীরিক অস্বস্তি থাকার কারণে তাঁদের খেলানো হয়নি। ম্যাচের পর স্কালোনি বলেছেন, “আমাদের দলে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। আমাদের হাতে এখনও সময় রয়েছে দল বদলানোর। আশা করি দল বদলাতে হবে না। কিন্তু একটা সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে।”
দল থেকে কাকে বাদ দেওয়া হবে, সে ব্যাপারে মুখ খোলেননি স্কালোনি। বলেছেন, “কাকে বাদ দেব সেটা ঠিক করিনি। তবে এমন কিছু ফুটবলার রয়েছে যারা শারীরিক ভাবে সুস্থ নয়। তাই জন্যেই আজকের ম্যাচ থেকে ওদের বাদ দেওয়া হয়েছে। খেলালে সেটা ঝুঁকি নেওয়া হয়ে যেত। আগামী দিনে আমাদের সাবধান থাকতে হবে।”
ফিফার নিয়ম অনুযায়ী চোট পাওয়া কোনও ফুটবলারের জায়গায় নতুন কাউকে নিতে গেলে প্রথম ম্যাচে ২৪ ঘণ্টা আগে তা করতে হবে। বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা খেলবে ২২ নভেম্বর। অর্থাৎ রবিবার রাতের মধ্যে দল বদলানোর সুযোগ থাকছে স্কালোনির হাতে।
বুধবার প্রত্যাশা মতোই আমিরশাহিকে বড় ব্যবধানে হারায় আর্জেন্টিনা। আবু ধাবির মহম্মদ বিন জ়ায়েদ স্টেডিয়ামে মেসিদের সামনে কোনও প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেননি আমিরশাহির ফুটবলাররা। গোটা ম্যাচেই বল ছিল মূলত নীল-সাদা জার্সিদের পায়ে। বিক্ষিপ্ত ভাবে দু’এক বার প্রতি আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করলেও সুবিধা করতে পারেননি আমিরশাহির ফুটবলাররা। ম্যাচের প্রথমার্ধেই ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। ১৭ মিনিটে প্রথম গোল করেন জুলিয়ান আলভারেজ। এর পর ২৫ এবং ৩৬ মিনিটে পর পর দু’টি গোল করে ব্যবধান বাড়ান অভিজ্ঞ অ্যাঙ্খেল দি মারিয়া। দর্শকরা অপেক্ষা শেষ হয় ম্যাচের ৪৪ মিনিটে। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে গোল করেন মেসি।
প্রথম অর্ধে বড় ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে আর্জেন্টিনা কিছুটা ধীরে সুস্থে খেলে। বেশ কয়েকটি পরিবর্তন করেন আর্জেন্টিনার কোচ লিয়োনেল স্কালোনি। ম্যাচের ৬০ মিনিটে দলের হয়ে পঞ্চম গোলটি করেন জোয়াকুইন কোরিয়া। এর পর আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের মধ্যে গোল দেওয়ার তেমন মরিয়া ভাব চোখে পড়েনি। ফলে আর বাড়েনি গোলের সংখ্যাও। মূলত নিজেদের বোঝাপড়া বাড়িয়ে নেওয়ার জন্য খেললেন তাঁরা। ম্যাচে ৬৭১টি পাস খেলেছেন আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা। ৬১ শতাংশ সময় বল দখলে রেখেছিলেন তাঁরা। গোল লক্ষ্য করে ১৫টি শট নেন মেসিরা। তার মধ্যে সাতটি ছিল গোলের মধ্যে। যদিও তুলনায় অনেক দুর্বল আমিরশাহির বিরুদ্ধেও ১৪টি ফাউল করেছেন তাঁরা। যা বিশ্বকাপের আগে উদ্বেগ বাড়াতে পারে অর্জেন্টিনার কোচের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy