ফ্রান্সের বিরুদ্ধে পরাজয়ের পর হতাশ ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেন। ছবি: টুইটার।
বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ইংল্যান্ডের বিদায়ের জন্য অধিনায়ক হ্যারি কেনের ব্যর্থতাকেই দায়ী করছেন সকলে। হ্যারি কেন দ্বিতীয় পেনাল্টি নষ্ট করলেন কেন? তা নিয়ে নানা আলোচনা হচ্ছে। আসল কারণ জানিয়ে দিলেন হুগো লরিস।
ফ্রান্সের অধিনায়কের সঙ্গে টটেনহ্যামে খেলেন হ্যারি কেন। লরিসের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব রয়েছে। তবে কি ক্লাবের সতীর্থের বিরুদ্ধে পেনাল্টি মারতে গিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিলেন হ্যারি কেন? লরিস বলেছেন, ‘‘প্রথমত আমরা পরস্পরকে খুব ভাল ভাবে জানি। দু’জনের খেলাই দু’জনের কাছে নখদর্পনে। তাই পেনাল্টি আমাদের দু’জনের কাছেই বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। ও যেভাবে মারে সে ভাবেই মেরেছে। প্রথমটায় গোল করেছে। ওর একটু বাঁ দিকে মারার প্রবণতা রয়েছে। সেটা জানতাম বলেই কিছু ডান দিকে সরে গিয়েও দ্বিতীয় বার বাঁ দিকেই ঝাঁপাই। হ্যারি কেনকে চাপে ফেলার জন্যই সেটা করেছিলাম। মনে হয় তাতেই একটু চাপে পড়ে যায়। তাই জোরে মারতে গিয়ে বাইরে মেরে দিয়েছে।’’
ম্যাচে দু’টি পেনাল্টি পেয়েছিল ইংল্যান্ড। দু’টি মারতে যান হ্যারি কেন। প্রথম বার সাফল্য পেলেও দ্বিতীয় বার ব্যর্থ হন। ফলে ২-১ ব্যবধানে হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যায় ইংল্যান্ড। পরাজয়ের দায় মেনে নিয়ে ম্যাচের পর হ্যারি কেন বলেছিলেন, ‘‘নিজের প্রস্তুতিতে কখনও ফাঁক রাখি না। দ্বিতীয় বার পেনাল্টি মারতে যাওয়ার সময় আমার অন্যরকম কিছু মনে হয়নি। চাপও অনুভব করিনি। আত্মবিশ্বাসীই ছিলাম। তবু যা করতে চেয়েছিলাম, তা করতে পারিনি।’’
ক্লাবের সতীর্থের বিরুদ্ধে পেনাল্টি মারতে গিয়েই কি বিপত্তি? মানতে চাননি ইংল্যান্ড অধিনায়ক। হ্যারি কেন বলেছেন, ‘‘এই বিষয়টা নিয়ে চিন্তাই করিনি। কখনও এ সব নিয়ে ভাবিও না। ম্যাচে একটা পেনাল্টি পেলে নিজেকে যে ভাবে প্রস্তুত করি দু’টো পেনাল্টি পেলেও সে ভাবেই প্রস্তুত করি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy