ইংল্যান্ডের ফুটবলারদের স্ত্রী, বান্ধবীরা প্রমোদতরী ছেড়ে উঠলেন হোটেলে। ছবি: টুইটার।
বিশ্বকাপ ফুটবল দেখতে এসে ইংল্যান্ডের ফুটবলারদের স্ত্রী, বান্ধবীরা প্রথমে হোটেলে থাকছিলেন না। তাঁরা থাকছিলেন একটি প্রমোদতরীতে। খেলা দেখার পাশাপাশি নিরাপদে ছুটি উপভোগ করাই ছিল তাঁদের লক্ষ্য। কিন্তু, বিশ্বকাপের মাঝেই সে শখ মাথায় উঠেছে হ্যারি কেনদের স্ত্রীদের। প্রমোদতরী ছেড়ে তাঁরা উঠেছেন দোহার একটি বিলাসবহুল হোটেলে।
প্রথম কয়েক দিন বেশ আনন্দে কাটলেও ইংল্যান্ডের ফুটবলারদের স্ত্রী, বান্ধবীদের কাছে ক্রমশ বিরক্তিকর হয়ে ওঠে প্রমোদতরীর পরিবেশ। তাঁরা ছিলেন প্রমোদতরীর একটি নির্দিষ্ট অংশে। সেখানে অন্য কারও প্রবেশাধিকার ছিল না। তবু অন্য আবাসিকদের আচরণে বিরক্তি বাড়ছিল তাঁদের। ধৈর্যের বাধ ভাঙে প্রমোদতরীর এক কর্মীর আচরণে।
এক দিন রাতে তরীতে ফিরছিলেন ইংল্যান্ডের কয়েক জন ফুটবলারের স্ত্রী, বান্ধবী। সে সময় প্রমোদতরীর পাঁচ তলার ছাদের রেলিংয়ের কাছে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করেন ওই কর্মী। তা দেখে স্বাভাবিক ভাবেই প্রচণ্ড রেগে যান তাঁরা। অভিযোগ করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। সমস্যা হচ্ছিল আরও। প্রতি দিনই খেলা দেখে ফেরা অন্য আবাসিকরা প্রিয় দলের জয়ের উৎসবে মাতছিলেন। তাঁদের চিৎকার-চেঁচামেচিতে রাতের ঘুম নষ্ট হচ্ছিল জ্যাক গ্রিলিশ, হ্যারি ম্যাগুয়েরদের স্ত্রী, বান্ধবীদের। প্রমোদতরী থেকে স্বামী, প্রেমিকদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতেও সমস্যা হচ্ছিল তাঁদের। দিনের অধিকাংশ সময়েই তাঁদের ফোনে নেটওয়ার্ক থাকছিল না। পরিস্থিতি ক্রমে এতটাই অসহ্য হয়ে যায় যে প্রমোদতরী ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। গ্রিলিশ এবং ম্যাগুয়েরের স্ত্রী প্রধান উদ্যোগ নেন।
যোগাযোগ করা হয় ইংল্যান্ড দলের সঙ্গে। প্রমোদতরীর বদলে ফুটবলারদের স্ত্রী, বান্ধবীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয় একটি বিলাসবহুল হোটেলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy