অন্যতম ফেভারিট হিসাবেই কাতার বিশ্বকাপে অভিযান শুরু করবে নেদারল্যান্ডস। ছবি: টুইটার।
আট বছর পরে আবার ফুটবল বিশ্বকাপে দেখা যাবে কমলা ঝড়। ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি তারা। ২০১৪ সালে তৃতীয় স্থানে শেষ করা নেদারল্যান্ডস। ২০১৪ বিশ্বকাপের কোচ লুইস ভ্যান গালকে এ বারেও দেখা যাবে নেদারল্যান্ডসের বেঞ্চে। কাতার বিশ্বকাপে তিনিই ভরসা নেদারল্যান্ডসের। আছে আশঙ্কাও। দলের অধিকাংশ ফুটবলারেরই বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা নেই।
যোগ্যতা অর্জন পর্বে গ্রুপের সেরা হয়ে কাতারের টিকিট পেয়েছিল নেদারল্যান্ডস। ছন্দে রয়েছেন উট উইঘর্স্ট, ফ্রেঙ্কি দি জংরা। তিন বার বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলেও এক বারও জিততে পারেনি ডাচরা। এ বার অন্যতম ফেভারিট হিসাবেই খেলতে নামবে তারা। অধরা বিশ্বকাপ এ বার ধরার চেষ্টা করবেন তারা। উয়েফা নেশনস লিগে টানা ছয় ম্যাচ অপরাজিত থেকে কাতারে নামবে নেদারল্যান্ডস।
সূচি
২১ নভেম্বর বনাম সেনেগাল (রাত ৯.৩০)
২৫ নভেম্বর বনাম ইকুয়েডর (রাত ৯.৩০)
২৯ নভেম্বর বনাম কাতার (রাত ৮.৩০)
— ভারতীয় সময় অনুযায়ী
পরিকল্পনা
প্রায় তিন দশক ধরে সর্বোচ্চ পর্যায়ে কোচিং করাচ্ছেন ভ্যান গাল। ২০২১ সালের অগস্টে তাঁর হাতে তৃতীয় বারের জন্য জাতীয় দলের দায়িত্ব তুলে দিয়েছে ডাচ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। এ বারের বিশ্বকাপের অন্যতম অভিজ্ঞ কোচ তিনি। মূলত ৪-৩-৩ ছকে আগ্রাসী ফুটবলই তাঁর পছন্দ। ২০১৪ বিশ্বকাপে ৩-৪-১-২ ছকে দলকে খেলিয়ে সাফল্য পেয়েছিলেন। গত বছর দায়িত্ব নেওয়ার পর ৭১ বছরের কোচ তেমন বড় কোনও পরিবর্তন করেননি দলে। শুধু কিছু কৌশলগত পরিবর্তন করেছেন। তাতেই ধরা দিচ্ছে সাফল্য। তাঁর কৌশল পড়ে ফেলা বিশ্বের অনেক সেরা কোচের কাছেও কঠিন। কাতারেও দলকে আগ্রাসী ছন্দবদ্ধ ফুটবল খেলাতে চান।
প্রধান ফুটবলার
এ বারের বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডস প্রধান ভরসা দি জং। মাঝমাঠে তিনিই তৈরি করেন দলের খেলা। ২৫ বছরের ফুটবলারের সব থেকে বড় গুণ পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে পারার ক্ষমতা। তাই তাঁর উপর অনেকটাই নির্ভর করেন কোচও। রক্ষণ ভাগের ফুটবলাররা দি জংকেই প্রথম বল দেন। তিনি নেতৃত্ব দেন পরিকল্পিত আক্রমণ তৈরির। মাঝমাঠ থেকে পাঁচ-ছ’টা পাস খেলে বিপক্ষের বক্সে পৌঁছে যায় নেদারল্যান্ডস।
বিশ্বকাপের ইতিহাস
তিন বার বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেও চ্যাম্পিয়ন হওয়া হয়নি নেদারল্যান্ডসের। ১৯৭৪, ১৯৭৮, ২০১০ সালের ফাইনালে তারা হারে পশ্চিম জার্মানি, আর্জেন্টিনা এবং স্পেনের কাছে। কাতারে তারা ১১তম বিশ্বকাপ খেলবে। মোট ১১টি বিশ্বকাপে ডাচরা হয় অংশগ্রহণ করেনি নয়তো যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি।
পুরো দল:
গোলরক্ষক: জাস্টিন বিলো, রেমকে পাসভির, আন্দ্রিয়েস নোপার্ট।
ডিফেন্ডার: ভার্জিল ফান ডাইক, নাথান একে, দালে ব্লিন্দ, জুরিয়েল টিম্বার, ডেঞ্জেল ডামফ্রিস, স্তেফান দি ভ্রাই, মাথিয়াস দি লিট, টাইরেল মালাসিয়া, জেরেমি ফ্রিমপং।
মিডফিল্ডার: ফ্রেঙ্কি দি জং, স্টিভন বার্গউইস, ডেভি ক্লাসেন, টিউন কুপমিনার্স, কোপি গাকপো, মার্তিন দে রুন, কেনেথ টেলর, জ়াভি সিমন্স।
স্ট্রাইকার: মেম্ফিস দেপাই, স্টিভন বার্গউইন, ভিনসেন্ট জানসেন, লুক দে জং, নোয়া লাং, উট উইঘর্স্ট।
কোচ: লুইস ভ্যান গাল
সম্ভাব্য একাদশ: (৪-৩-৩) বিলো, টিম্বার, ফান ডাইক, একে, ডামফ্রিস, বার্গউইস, দি জং, ক্লাসেন, সিমন্স, দেপাই, বার্গউইন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy