প্রিয় ক্লাবের স্টেডিয়ামেই সাহসী ছবি তুলেছেন পেট্রোভা। ছবি: টুইটার।
আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত তাঁর প্রিয় ক্লাব। কর্তারা চেষ্টা করেও হাল ফেরাতে পারছেন না এফসি মেটালুর জ়াপোরিঝিয়ার। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে দল গড়তেও সমস্যায় পড়ছে ইউক্রেনের দ্বিতীয় ডিভিশনের ক্লাবটি। প্রিয় ক্লাবের পাশে দাঁড়ালেন প্রাক্তন প্লে বয় মডেল অ্যাঞ্জেলিনা পেট্রোভা।
যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনের অধিকাংশ ক্লাবই ধুঁকছে আর্থিক সঙ্কটে। বিশেষ করে দ্বিতীয় বা তার নিচের ডিভিশনের ক্লাবগুলির সমস্যা বেশি। তবে এ বারই প্রথম নয়। আট বছর আগেও প্রিয় ক্লাবের বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন পেট্রোভা। খোলামেলা, সাহসী ছবির জন্য বিখ্যাত মডেল ইউক্রেনে বেশ জনপ্রিয়। সমাজমাধ্যমে তাঁর ভক্ত সংখ্যাও প্রচুর। আট বছর আগে ক্লাবের জন্য টাকা সংগ্রহ করতে শরীরের উপরের অংশ উন্মুক্ত করে ছবি তুলেছিলেন। সেই ছবি বিক্রি করে এফসি মেটালুর জ়াপোরিঝিয়াকে সাহায্য করেছিলেন তিনি।
প্রেট্রোভা ইউক্রেনের জ়াপোরিঝিয়া অঞ্চলের বাসিন্দা। রাশিয়ার সেনাবাহিনী ইউক্রেনের এই অংশেও বিমান হামলা চালিয়েছে। যুদ্ধের ক্ষত ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে সর্বত্র। ২০১৫ সালে পেট্রোভার চেষ্টা অবশ্য সফল হয়নি। তিনি একাধিক সাহসী ছবি তুলে টাকা তোলার চেষ্টা করলেও ক্লাবকে আর্থিক সঙ্কট থেকে বাঁচাতে পারেননি। তাঁর সেই চেষ্টার কয়েক মাস পর এফসি মেটালুর জ়াপোরিঝিয়াকে দেউলিয়া ঘোষণা করে ইউক্রেনের ব্যাঙ্ক। ক্লাবের দরজা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন কর্তারা। সেই ধাক্কা পরে সামলে উঠে এফসি মেটালুর জ়াপোরিঝিয়া। ভাল দল তৈরি করে ২০১৭ সালে ইউক্রেনের প্রিমিয়ার ডিভিশনে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। সেই সাফল্য অবশ্য ধরে রাখা যায়নি। ক্লাবটি আবার নেমে গিয়েছে দ্বিতীয় ডিভিশনে। যুদ্ধের ধাক্কা আবার কোণঠাসা করে দিয়েছে এফসি মেটালুর জ়াপোরিঝিয়াকে। এ বারের পরিস্থিতি আরও খারাপ। তাই স্থানীয় ক্লাবকে বাঁচাতে আবার সক্রিয় হয়েছে পেট্রোভা। আবার নিজের খোলামেলা, সাহসী ছবি ক্লাব কর্তাদের হাতে তুলে দিতে চান ক্লাব কর্তাদের হাতে। যাতে সেই ছবি বিক্রি করে ক্লাবের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে পারেন তাঁরা। আগের বারের মতো এ বারই শরীরের উপরের অংশ অনাবৃত করে ছবি তোলার কথা বলেছেন তিনি। আগের বার যে টুকু আব্রু ছিল, এ বার প্রয়োজনে সে টুকুও না রাখার কথা বলেছেন।
জ়াপোরিঝিয়ায় রাশিয়ার সেনার অভিযানের সময় দেশে ছিলেন না পেট্রোভা। পেশাগত কারণে ছিলেন সুইৎজ়ারল্যান্ডে। সমাজমাধ্যমে যুদ্ধের প্রতিবাদ করেছিলেন। আবেদন জানিয়েছিলেন শান্তি ফেরানোর।
প্রায় এক বছর পর দেশে ফিরে পেট্রোভা যান প্রিয় ক্লাবে। সব কিছু ঠিক আছে কিনা, তা দেখতে গিয়েছিলেন। তখনই জানতে পারেন ক্লাবের আর্থিক সঙ্কটের কথা। এ বার ক্লাবের স্টেডিয়ামেই সাহসী ছবি তুলেছেন তিনি। নিজের সৌন্দর্য বিলিয়ে প্রিয় ক্লাবকে সঙ্কটমুক্ত করতে চান। পেট্রোভা বলেছেন, ‘‘এক বছর হয়ে গেল ইউক্রেনে থাকি না। তবু নিজের মাতৃভূমিকে হৃদয় দিয়ে ভালবাসি। আমার দেশ যুদ্ধ চায় না। শুধু শান্তি চায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy