মঙ্গলবার রাতে (ভারতীয় সময় বুধবার ভোরে) বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনের ম্যাচে ব্রাজিলকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। বুয়েনোস আইরেসে গিয়ে পর্যুদস্ত হয়েছে ব্রাজিল। সেই ম্যাচে এনজ়ো ফের্নান্দেসের গোল নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে বিশ্ব জুড়ে। ব্রাজিলের উপর আর্জেন্টিনার দাপট কতটা ছিল, তা বোঝাতে এই একটি গোলই যথেষ্ট বলে মনে করছেন সমর্থকেরা।
চার মিনিটে জুলিয়ান আলভারেজ়ের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। ১২ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করে তারা। এই দ্বিতীয় গোলের সময়েই নিজেদের মধ্যে ৩৪টি পাস খেলেছে তারা।
শুরুটা হয়েছিল আর্জেন্টিনার অধিনায়ক নিকোলাস ওটামেন্ডিকে দিয়ে। তিনি পাস দেন লিয়ান্দ্রো পারেদেসকে। পারেদেস থেকে এনজ়ো হয়ে বল আবার যায় ওটামেন্ডির কাছে। সেখান থেকে ক্রিশ্চিয়ান রোমেরোর কাছে। এমনকি ব্যাক পাস থেকে গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেসও বল পান।
এ ভাবে পাস খেলতে খেলতে আচমকাই আক্রমণ শুরু করে আর্জেন্টিনা। রদ্রিগো দি পল পাস দেন আলভারেজ়কে। সেখান থেকে বল পান নাহুয়েল মোলিনা। তিনি বক্সে ক্রস করেন। ব্রাজিলের এক ডিফেন্ডারের গায়ে হালকা স্পর্শ করে বল এনজ়োর কাছে গেলে, তিনি প্রথম শটেই গোল করেন।
এই গোটা পর্বে দেড় মিনিটের বেশি ব্রাজিলের কোনও ফুটবলারকে বল ধরতে দেয়নি আর্জেন্টিনা। যত বেশি পাস খেলছিল তত আর্জেন্টিনার সমর্থকদের চিৎকার বাড়ছিল। এনজ়োর গোলের পর উল্লাসে ফেটে পড়ে মনুমেন্টাল স্টেডিয়াম।
আরও পড়ুন:
ম্যাচের পর হারের দায় স্বীকার করে নিয়েছেন ব্রাজিলের কোচ দোরিভাল জুনিয়র। বলেছেন, “সব দায় আমার। আর্জেন্টিনা সব বিভাগেই আমাদের থেকে শক্তিশালী ছিল। সত্যি বলতে, এ ধরনের পরিস্থিতি বর্ণনা করে বলা খুবই কঠিন। যা যা পরিকল্পনা করেছিলাম কোনওটাই কাজে লাগাতে পারিনি। স্বাভাবিক ভাবেই গোটা দল এই হারে বিধ্বস্ত।”
আর্জেন্টিনার কোচ লিয়োনেল স্কালোনি বলেছেন, “এটা গোটা দলের জয়। কারণ আমরা দল হিসাবে খেলেছি। ব্রাজিলকে শান্ত রাখতে পেরেছি। এ ভাবেই ওদের বিরুদ্ধে খেলতে হয়। তবে এটাই প্রথম নয়, এর আগেও অনেক ভাল ম্যাচ খেলেছি আমরা।”