দলকে জয় এনে দেওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার তামেকার উচ্ছ্বাস। ছবি: টুইটার।
মহিলাদের বিশ্বকাপ ফুটবলের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া। শনিবার কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ড ২-১ ব্যবধানে হারাল কলম্বিয়াকে। অন্য ম্যাচে সাডেন ডেথে ফ্রান্সকে ৭-৬ গোলে হারিয়ে প্রথম বার বিশ্বকাপের শেষ চারে অসিরা।
শনিবার ব্রিসবেন দেখল মহিলাদের বিশ্বকাপের দীর্ঘতম পেনাল্টি। নির্ধারিত সময় ফলাফল না হওয়ায় অস্ট্রেলিয়া এবং ফ্রান্সের ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। তাতেও কোনও দল জিততে না পারায় হল সাডেন ডেথ। শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া জিতল ৭-৬ গোলের ব্যবধানে। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে জয়সূচক গোলটি করেন তামেকা ইয়োলোপ। দু’দলই এ দিন ১০টি করে শট নিয়েছে। আগের নজিরটি ছিল এ বারের বিশ্বকাপেই সুইডেন এবং আমেরিকার ম্যাচের। রাউন্ড অফ সিক্সটিনের সেই ম্যাচে দু’দল সাতটি করে শট নিয়েছিল। তার আগের নজির ছিল ১৯৯৯ সালে ব্রাজিল এবং নরওয়ে ম্যাচের। সেই ম্যাচে ব্রাজিল ছ’টি এবং নরওয়ে পাঁচটি শট নিয়েছিল।
শনিবার অস্ট্রেলিয়া-ফ্রান্স লড়াইয়ে ১২০ মিনিট পরেও গোল করতে পারেনি কোনও দল। খাতায় কলমে শক্তির বিচারে এগিয়ে থেকেই মাঠে নেমেছিল ফ্রান্স। কিন্তু অস্ট্রেলীয় মহিলা ফুটবলারেরা আগ্রাসী ফুটবল খেলে সমানে সমানে লড়াই করেন। অধিকাংশ সময় ম্যাচের রাশ ছিল অস্ট্রেলিয়া দলের দখলে। প্রথমার্ধেই দু’টি সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করে অস্ট্রেলিয়া। বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন ফরাসিরাও। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার গোলরক্ষক ম্যাকেঞ্জি আর্নল্ডকে পরাস্ত করতে পারেননি তাঁরা। বেশ কয়েক বার দলের পতন রুখে দিয়েছেন তিনি।
শনিবারের অন্য ম্যাচে কলম্বিয়াকে হারাতে অবশ্য তেমন বেগ পেতে হল না ইংল্যান্ডকে। ৪৪ মিনিটে গোল করে অবশ্য এগিয়ে গিয়েছিল লাতিন আমেরিকার দেশটি। গোল করেন লেসি স্যান্তোস। তবে বেশি ক্ষণ গোল ধরে রাখতে পারেননি কলম্বিয়ার ফুটবলারেরা। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ের শেষ মিনিটে সমতা ফেরায় ইংল্যান্ড। গোল করেন লরেন হেম্প। প্রথমার্ধের খেলা ১-১ গোলে শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বৃদ্ধি করে ইংল্যান্ড। তার সুফল হিসাবে ৬৩ মিনিটে দলের পক্ষে জয়সূচক গোল করেন অ্যালিসিয়া রুসো।
মহিলাদের বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে সুইডেনের প্রতিপক্ষ স্পেন। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy