মরিয়া: শেষ দু’টি ম্যাচ জয়ই লক্ষ্য ক্রেসপোদের। ছবি: ইস্টবেঙ্গল।
টানা তিন ম্যাচে হারের পরে কেরলের মাঠে কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়ে ৪-২ গোলে রুদ্ধশ্বাস জয়। তাও আবার কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের অনুপস্থিতিতে। শুধু ফুটবলারদেরই নয়, এই জয় নিশ্চিত ভাবে মুখে হাসি ফুটিয়েছে অগণিত লাল-হলুদ সমর্থকদের। প্রথমবার প্লে-অফে খেলার স্বপ্ন ফের দেখতে শুরু করেছিলেন তাঁরা।
কিন্তু বৃহস্পতিবার চেন্নাইয়িন এফসি ২-১ গোলে জামশেদপুর এফসি-কে হারিয়ে দেওয়ায় ফের চাপ বাড়ল লাল-হলুদ শিবিরে। এই মুহূর্তে ২০ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে উঠে এসেছে চেন্নাইয়িন। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে ২১ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে নেমে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। ক্লেটন সিলভা-রা সর্বোচ্চ পৌঁছতে পারেন ২৭ পয়েন্টে। লাল-হলুদের পক্ষে আশার কথা, তাদের গোলপার্থক্য শূন্য। চেন্নাইয়িনের সেখানে (-৮)। ১৯ ম্যাচে ২০ পয়েন্টে নিয়ে একাদশতম স্থানে থাকা নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডেরও গোলপার্থক্য (-৮)। ফলে ইস্টবেঙ্গলকে বাকি দু’টি ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসি ও পঞ্জাব এফসি-কে হারাতেই হবে। সেই সঙ্গে বাকি দলগুলিকে ২৭ পয়েন্ট টপকালে চলবে না।
লিগের এই সাপ-লুডোর কথা মাথায় রাখতে চান না লাল-হলুদের সহকারী কোচ বিনো জর্জ। তিনি বুধবার বলেছিলেন, “আমরা এখন প্লে-অফ নিয়ে ভাবছি না। আমাদের লক্ষ্য শুধু পরের ম্যাচ। তবে প্লে-অফে যাওয়ার ব্যাপারে আমি আশাবাদী।”
বুধবার জোড়া গোল করেন চোট সারিয়ে ফেরা সউল ক্রেসপো। ম্যাচের শেষে তিনি বলেছিলেন, “দলকে সাহায্য করতে পেরে খুবই খুশি হয়েছি। আমরা শেষ দু’ম্যাচেও সমর্থকদের পাশে চাই।” আরও বলেছেন, “পরের দু’টি ম্যাচই ফাইনাল ভেবে খেলতে নামব।” বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতায় পৌঁছেছেন ক্লেটনরা। আজ, শুক্রবার রুদ্ধদ্বার অনুশীলন সারবে দল। যদিও বৃহস্পতিবারই পঞ্জাব এফসি-র তরফে বিবৃতি দেওয়া হয়, ৬ এপ্রিল মোহনবাগান এবং ১০ এপ্রিল ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ম্যাচ দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলা হবে।
সউলের দ্বিতীয় গোলের ক্ষেত্রে সিংহভাগ কৃতিত্বই রিজ়ার্ভ দল থেকে উঠে আসা কেরলের সি কে আমনের। শুধু তাই নয়। পি ভি বিষ্ণু, সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়রাও নিজেদের উজাড় করে দিয়েছেন। উচ্ছ্বসিত ইস্টবেঙ্গল রিজ়ার্ভ দলের কোচ বিনো বলেছেন, “তরুণ ফুটবলাররা দারুণ খেলেছে। আমন তো এই ম্যাচে অসাধারণ ফুটবল উপহার দিয়েছে। কার্লেস সবসময় তরুণদের উৎসাহিত করেন। আশা করি পরের ম্যাচে ওরা সেরাটাই দেবে।”
প্লে-অফের আশা কি দেখছেন? বিনো বলেন, “আমরা শুধুমাত্র বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে ম্যাচ নিয়ে ভাবছি। প্লে-অফ নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না।” কেরলকে হারিয়ে ছেলেরা যে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস পেয়েছে, সে কথাও গোপন করেননি বিনো। বলেছেন, “কেরলকে হারিয়ে ছেলেরা বাড়তি আত্মবিশ্বাস পেয়েছে। এই আত্মবিশ্বাসকে সম্বল করে পরের ম্যাচগুলিতে জয় তুলে নিতে হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy