পরামর্শ: অনুশীলনে (বাঁ দিকে) কুয়াদ্রাতের সঙ্গে ক্রেসপো। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।
এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচের আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে ইস্টবেঙ্গল শিবিরে স্বস্তির খবর— অবশেষে সুস্থ হয়ে খেলার জন্য তৈরি সউল ক্রেসপো। রক্ষণ নিয়েও দুশ্চিন্তা কিছুটা কমতে চলেছে কার্লেস কুয়াদ্রাতের। ফিরছেন নির্বাসনমুক্ত হিজ়াজি মাহেরও। কিন্তু নন্দ কুমার কি খেলতে পারবেন? সোমবার সকালে তিনি দলের সঙ্গে অনুশীলনই করেননি। মাঠের বাইরে ফিটনেস ট্রেনারের সঙ্গেই সময় কাটান।
যুবভারতীতে গত ৩ ফেব্রুয়ারি মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ডার্বিতে চোট পেয়ে ১৮ মিনিটে উঠে গিয়েছিলেন ক্রেসপো। তার পর থেকেই তিনি মাঠের বাইরে। চোট সারাতে স্পেনেও ফিরে গিয়েছিলেন ক্রেসপো। গোয়া রওনা হওয়ার আগে সোমবার সকালে যুবভারতীতে পুরোদমেই অনুশীলন করেন ইস্টবেঙ্গল মাঝমাঠের অন্যতম ভরসা। গোয়া ম্যাচের ফলের উপরে অনেকটাই নির্ভর করছে মশালবাহিনীর প্লে-অফ ভাগ্য। কারণ, ওড়িশা এফসি-র কাছে আগের ম্যাচে হেরে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছেন ক্লেটন সিলভা-রা। তবুও প্রশ্ন উঠছে সদ্য সুস্থ হয়ে ওঠা ক্রেসপোকে কি বুধবার খেলানোর ঝুঁকি নেবেন কার্লেস? কারণ, আইএসএলের ক্রীড়াসূচি অনুযায়ী গোয়ার ম্যাচের চার দিন পরেই ডার্বি। সোমবার সকালে যুবভারতীতে লাল-হলুদের স্পেনীয় কোচ খোলাখুলি বললেন, ‘‘ডার্বির কথা ভেবে ফুটবলারদের ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলানোর মতো পরিস্থিতি নেই। আমাকে পূর্ণশক্তি নিয়েই জয়ের জন্য ঝাঁপাতে হবে।’’ যোগ করেন, ‘‘দীর্ঘ দিন পরে আমরা ছয় বিদেশিকেই দলে পাচ্ছি।’’ যদিও তিনি মনে করেন না গোয়ার কাছে হারলেই শেষ হয়ে যাবে প্লে-অফে খেলার স্বপ্ন। বললেন, ‘‘এখনও ১৫ পয়েন্টের খেলা বাকি আছে। গোয়া ম্যাচের পরেও ১২ পয়েন্ট থাকবে। আমার মনে হয় না সুপার সিক্সের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যাবে। তবে শেষ পাঁচটা ম্যাচে সেরাটা দিতে হবে।’’ কোচের পাশে বসে হিজ়াজি বললেন, ‘‘কোচ আমার উপরে আস্থা রাখায় খুশি। প্রতিটি ম্যাচেই নিজের সেরাটা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামি।’’
ওড়িশার বিরুদ্ধে আগের ম্যাচে প্রথম একাদশে নন্দ ও মহেশ সিংহ ছিলেন না। সোমবারও অনুশীলন করেননি নন্দ। তিনি কি আদৌ খেলার মতো জায়গায় রয়েছেন? লাল-হলুদের স্পেনীয় কোচ বললেন, ‘‘চোটের কারণেই ওড়িশা ম্যাচে ওদের শুরু থেকে খেলাইনি। নন্দর গোড়ালিতে একটু সমস্যা হচ্ছে। তবে চিন্তিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।’’
জামশেদপুরের পরে ওড়িশার বিরুদ্ধেও এগিয়ে থেকে হেরে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। কী কারণে এ রকম হচ্ছে? আত্মতুষ্টি কি গ্রাস করছে ফুটবলারদের? কার্লস বলছেন, ‘‘আমি মনে করি না ছেলেরা আত্মতুষ্ট হয়ে পড়ছে। ওরা লড়াই করছে। তবে উন্নতির অনেক জায়গা আছে। দলে একাধিক পরিবর্তন হয়েছে। আশা করছি পরবর্তী ম্যাচে আমরা ভুলগুলি শুধরে নিতে পারব।’’ শেষ পাঁচটি ম্যাচে গোয়া জিততে না পারলেও উচ্ছ্বসিত নন কার্লেস। বললেন, ‘‘ফুটবলে এ রকম হয়েই থাকে।’’
জয় হাতছাড়া নর্থ ইস্টের: সোমবার হায়দরাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধে ২-০ এগিয়ে থেকেও জিততে পারল না নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড এফসি। ফল ২-২। এ দিন জিতলেই বেঙ্গালুরু এফসি-কে টপকে ষষ্ঠ স্থান দখল করার সুযোগ ছিল নর্থ ইস্টের সামনে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy