নন্দ কুমার। —ফাইল চিত্র।
যুবভারতীতে গত সোমবার নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড এফসিকে ৫-০ গোলে হারিয়ে জয়ের সরণিতে ইস্টবেঙ্গলের প্রত্যাবর্তনের নেপথ্য অন্যতম নায়ক ছিলেন নন্দ কুমার। পরিবর্ত হিসেবে নেমে নিজে জোড়া গোল করেছিলেন। গোলের জন্য বল সাজিয়ে দিয়েছিলেন ক্লেটন সিলভাকে। সমর্থকদের জয়ধ্বনির মধ্যে দিয়ে সেই রাতে যুবভারতী ছাড়ার সময়ও নন্দ কি ভেবেছিলেন পরের দু’দিন প্রতিটি মুহূর্ত প্রবল উৎকণ্ঠার মধ্যে তাঁকে কাটাতে হবে?
ঘূর্ণি ঝড় মিগজাউমের দাপটে শুরু হওয়া প্রবল বৃষ্টিতে গত রবিবার থেকেই চেন্নাইয়ের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে ওঠে। জলমগ্ন হয়ে পড়ে নন্দর বাড়িও। অস্বস্তি নিয়েই নর্থ ইস্টের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিলেন তিনি। কিন্তু পরের দিন সকালে বাড়িতে ফোন করার পর থেকেই উদ্বেগ বাড়তে শুরু করে তান। জানতে পারেন বিদ্যুৎ নেই। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ছিন্ন হয়ে যায় যোগাযোগও। পরিবারের সদস্য থেকে বন্ধুবান্ধব— সকলেরই মোবাইল ফোন বন্ধ। টেলিভিশনে খবরের চ্যানেল থেকে ইন্টারনেট, সর্বক্ষণ নজর রাখছিলেন চেন্নাইয়ের পরিস্থিতির উপরে।
আটচল্লিশ ঘণ্টা পরে অবশেষে স্বস্তি। নন্দ ফোনে কথা বললেন বাবা-মায়ের সঙ্গে। বলছিলেন, ‘‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণেই বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। এই কারণেই কেউ-ই মোবাইল ফোন চার্জ দিতে পারেননি। ফলে যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যায়। প্রবল উৎকণ্ঠার মধ্যেই গত দু’দিন কাটিয়েছি। বিদ্যুৎ ফিরে আসায় বৃহস্পতিবার সকলের সঙ্গে কথা বলেছি। এখন নিজেকে অনেক হাল্কা লাগছে।’’ যোগ করেন, ‘‘এখনও আমাদের বাড়ির ভিতরে জল থইথই করছে। বৃহস্পতিবার থেকেঅবশ্য চেন্নাইয়ের অবস্থার ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে।’’
প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও ছেলেকে উৎসাহ দিতে ভোলেননি লাল-হলুদ তারকার অভিভাবকরা। নন্দ বললেন, ‘‘বাবা ও মা বলেছেন, সব কিছু ভুলে শনিবারের পঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে ম্যাচেমনোনিবেশ করতে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy