জন্মদিন পালনের পর কোচ ব্রুজ়োকে (বাঁ দিকে) কেক খাইয়ে দিচ্ছেন নন্দকুমার। ছবি: সমাজমাধ্যম।
মঙ্গলবার জামশেদপুর এফসি-র বিরুদ্ধে দু’গোলে পিছিয়ে পড়ে চার গোল দেওয়ার পরে ইস্টবেঙ্গলের পরিবেশটাই পাল্টে গিয়েছে। ইদানীং পিছিয়ে পড়লেও ম্যাচে ফিরতে পারত না ইস্টবেঙ্গল। সেই প্রথা বদলে দিয়েছে তারা। তাই আত্মবিশ্বাস নিয়েই শনিবার জামশেদপুরকে হারিয়ে ঘরের মাঠে টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জেতার স্বপ্ন দেখছে ইস্টবেঙ্গল।
বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে মাদিহ তালালের ছিটকে যাওয়ার খবর জানিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। শনিবার জামশেদপুরের বিরুদ্ধে খেলার আগে একটু হলেও ‘শক্তি’ বাড়ছে তাদের। কার্ড সমস্যা মিটিয়ে ফিরছেন জিকসন সিংহ। আগের ম্যাচে চোট পেলেও নাওরেম মহেশের খেলতে সমস্যা নেই। তবে শুরু থেকে নামানো হয় কি না সেটাই দেখার।
আগের ম্যাচের মতো আনোয়ার আলিকে মাঝমাঠে ডিফেন্সিভ ব্লকার হিসাবে খেলাতে পারেন কোচ অস্কার ব্রুজ়ো। সে ক্ষেত্রে জিকসনকে রিজ়ার্ভ বেঞ্চেই বসতে হতে পারে। পরে তাঁকে নামাতে পারেন। তেমনই মহেশকে শুরু থেকে না খেলিয়ে পিভি বিষ্ণুকে খেলাতে পারেন কোচ। দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোসকেও পরের দিকে নামাতে পারেন। শুক্রবার দিয়ামানতাকোস চুটিয়ে অনুশীলন করেছেন। ফিরেছেন মহেশও। শুক্রবারের অনুশীলনে ছোট ছোট পাস, সিচুয়েশন প্র্যাকটিসের উপরে জোর দিতে দেখা গিয়েছে। এ দিন মাঠেই কেক কেটে নন্দকুমারের জন্মদিন পালন করা হয়।
ম্যাচের আগের দিন দল অপরিবর্তিত রাখারই ইঙ্গিত দিয়েছেন ব্রুজ়ো। বলেছেন, “আমি দল একই রাখতে ভালবাসি। অকারণে দলে বদল আনার মতো কোচ আমি নই। দিয়ামানতাকোস, মহেশ, জিকসনেরা ভালই অনুশীলন করেছে। ১৮ জনের দলে থাকবে। তবে ম্যাচে খেলাব কি না সেটা এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি।”
শনিবারই ঘরের মাঠে এ বছরের শেষ ম্যাচ ইস্টবেঙ্গলের। প্রথম ছয়ে শেষ করতে হলে জামশেদপুরকে হারাতেই হবে। ব্রুজ়োরও লক্ষ্য তিন পয়েন্ট। তবে প্রতিপক্ষকে সমীহ করে বলেছেন, “জামশেদপুর পয়েন্ট তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। শক্তিশালী দল। আমরাও বেশ সমস্যার মধ্যে রয়েছি। তবে নিজেদের কাজটা ঠিক করে করতে পারলে না জেতার কোনও কারণ নেই।”
তিনি আরও বলেছেন, “বাস্তব থেকে বলতে পারি, আমাদের জামশেদপুরের বিরুদ্ধে জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। তা হলে পয়েন্ট তালিকায় আরও উপরে উঠব। পরের সপ্তাহে হায়দরাবাদের সঙ্গে খেলা। আশা করি যে ভাবে চেয়েছি সে ভাবেই বছরটা শেষ করতে পারব। আমরা প্রথম ছয়ে শেষ করার আপ্রাণ চেষ্টা করব। প্রথম দিন থেকেই বলে আসছি ইস্টবেঙ্গল প্রথম ছয়ে শেষ করার যোগ্য।”
জামশেদপুরের কোচ হিসাবে যিনি ডাগআউটে থাকবেন, সেই খালিদ জামিল ইস্টবেঙ্গলকে ভালই চেনেন। আইজলকে আই লিগ দেওয়ার পর ইস্টবেঙ্গলকেও কোচিং করিয়েছেন। তবে পুরনো দলকে নিয়ে আবেগের পথে হাঁটলেন না। শুধু বললেন, “ওরা খুব ভাল দল। এখনও ইস্টবেঙ্গলের আসল চেহারা দেখা বাকি। যে কোনও দলকে ওরা হারাতে পারে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy