ইস্টবেঙ্গলের কোচ কার্লেস। — ফাইল চিত্র।
গত ১২ অগস্ট ডুরান্ড কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান। ধারে-ভারে অনেকটাই এগিয়ে থাকা সবুজ-মেরুনকে যে ইস্টবেঙ্গল হারিয়ে দেবে, এটা অতি বড় লাল-হলুদ সমর্থকও ভাবতে পারেননি। সেটাই সম্ভব হয়েছে কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের মগজাস্ত্রের সৌজন্যে। ডুরান্ড ফাইনালে আরও একটি ডার্বির আগে স্পেনের কোচ অবশ্য মেনে নিয়েছেন, এ বারের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা।
কেন এমন ভাবছেন তিনি? কুয়াদ্রাতের মতে, মোহনবাগান ওই ম্যাচের পর অনেক বদলে গিয়েছে। তারা ডুরান্ড এবং এএফসি কাপে অনেকগুলি ম্যাচ খেলে পরিণত হয়েছে। ফলে ফাইনালের লড়াই মোটেই সহজ হবে না। কুয়াদ্রাতের কথায়, “ডুরান্ডের প্রথম ম্যাচে যে মোহনবাগানকে দেখেছিলাম এই দল তার থেকে আলাদা। ওই ম্যাচের পর ওরা অনেক ম্যাচ খেলেছে। ডুরান্ড, এএফসি কাপের ম্যাচ খেলেছে। বাংলাদেশ, নেপালের চ্যাম্পিয়ন দলকে হারিয়েছে। এখানে দেশের সেরা মুম্বই সিটিকে হারিয়েছে। দলের কৌশলও অনেক বদলে গিয়েছে। ওদের কোচ দলের মানসিকতা বদলে দিতে চাইছে। শারীরিক ভাবেও বেশ ফিট ওরা। তবে অনেক ম্যাচেই ওরা খুব কম ব্যবধানে জিতেছে। কখনও একটা পেনাল্টি থেকে খেলার মোড় ঘুরে গিয়েছে। তবে ওদের খেলা ভোঁতা করার জন্যে আমাদের হাতেও অস্ত্র রয়েছে।”
পাল্টা লড়াই যে ইস্টবেঙ্গলও দেবে সেটাই বুঝিয়ে দিয়েছেন কুয়াদ্রাত। একমাত্র ক্লেটন সিলভা বাদে বাকিরা যে তৈরি সেটা জানিয়েছেন। তবে প্রথম ডার্বিতে না খেলা ক্লেটনকে ফাইনালে না পাওয়া নিয়ে অসুবিধা নেই। তবে শুরু থেকে নামবেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এই ম্যাচে কার্ড সমস্যায় মিডফিল্ডার শৌভিক চক্রবর্তীকে পাবে না ইস্টবেঙ্গলে। ফলে দলের ফর্মেশনে বদল হচ্ছেই।
ফাইনালের দল নিয়ে কুয়াদ্রাত কিছু বললেন না। তাঁর কথায়, “সব খেলোয়াড় সমান জায়গায় নেই। ক্লেটন সিলভা এখনও পুরোপুরি তৈরি নয়। কারণ ও বাকিদের থেকে দেরি করে এসেছে। হোসে পারদোও আগের ডার্বিতে খেলেনি। আমরা একটা নতুন প্রোজেক্টের মধ্যে রয়েছি। সবাইকে আসল মরসুমের আগে তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য। ভবিষ্যতের জন্যেও একটা রূপরেখা তৈরি করে রাখতে হবে।”
ডার্বির আগে মোহনবাগানের দু’টি ম্যাচে পেনাল্টি নিয়ে বহু বিতর্ক হয়েছে। ফাইনালে কি তাঁরাও অবিচারের শিকার হতে পারেন? কঠিন প্রশ্নে সঙ্গে সঙ্গে সাবধানী কুয়াদ্রাত। ইস্টবেঙ্গলের কোচ বললেন, “রেফারিদের নিয়োগ করা তো আমাদের হাতে নেই। আমরা কোচ হিসাবে নিজেদের কাজ করার চেষ্টা করি। ওদের কাজ ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ রাখা। তবে কিছু বলতে হলে বলব, আইএসএলে অনেক ম্যাচেই বিদেশি রেফারি দেখেছি। সাধারণত বিদেশি রেফারিরা এলে এখানকার চাপের সঙ্গে সড়গড় থাকে না। ওরা আসে, ম্যাচ খেলায় এবং চলে যায়। কিন্তু দেশি রেফারিদের খেলালে এখানকার রেফারিদের মান বাড়বে। দিনের শেষে ওরাও মানুষ। ওদেরও অনেক চাপের মধ্যে খেলাতে হয়। তবে আধুনিক সময়ে অনেক ক্যামেরার মধ্যে খেলা হয়। তাই এখানে সেই প্রযুক্তি থাকলে ভাল হত।”
স্পেনের খেলোয়াড় বোরজা হেরেরা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, ট্রফি জেতা ছাড়া আর কিছু ভাবছেন না। তাঁর কথায়, “ফাইনাল হল ফাইনাল। আমরা জিততে চাই। ম্যাচে সেরাটা দিতে চাই। ডার্বি নাকি অন্য কোনও ম্যাচ সে সব নিয়ে ভাবছিই না। আমাদের লক্ষ্য ট্রফি জেতা। প্রথম ডার্বিতে খেলে বুঝতে পেরেছি এই ম্যাচ নিয়ে কতটা উত্তেজনা থাকে। সেটাই স্বাভাবিক। তবে আমরা মোটেই চাপে নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy